অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংসদ থেকে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের হুমকি, দলীয় ফোরামে এখনো আলোচনা হয়নি


ছবিতে সংসসে থাকা বিএনপি'র এমপি'দের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন করতে দেখা যাচ্ছে।
ছবিতে সংসসে থাকা বিএনপি'র এমপি'দের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন করতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার সংসদ প্লাজায় দাঁড়িয়ে বিএনপি'র এমপিরা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তাদের দাবি একটিই- দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের সুযোগ। এ ব্যাপারে তারা প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।

বর্তমানে এই সংসদে বিএনপি'র ৬ জন এমপি রয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহে এই এমপিদের তরফে সংসদে পদত্যাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল। দুর্নীতি মামলায় তিনি সাজা ভোগ করছেন। করোনা মহামারির সময় সরকার এক নির্বাহী আদেশে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। এরপর কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের তরফে তাকে বিদেশে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এই মুহূর্তে বিষয়টি বিবেচনা করতে রাজি নয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলে দিয়েছেন, তাকে যদি বিদেশে যেতে হয় তাহলে কারাগারে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। সর্বশেষ শনিবার তিনি বলেছেন, সরকার বড় জোর খালেদার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিতে পারে।

বিএনপি এই দাবিতে গণঅনশন ও মানববন্ধন পালন করেছে। আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে।

বিএনপি'র এমপিরা পদত্যাগের হুমকি দিলেও দলীয় ফোরামে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রভাবশালী এমপি বলেছেন, পুরোটা নির্ভর করে সরকারের ওপর। সরকার যদি তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে হয়তো পদত্যাগের ঘটনা ঘটতে পারে।

রোববার দুপুরে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে পাঁচ দলের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দিয়েছে। বাকি দলগুলো হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(একাংশ)।

স্মারকলিপি গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- আমি তাদের বলেছি যে, এর আগেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই আবেদন করেছিলেন। সেটাও আমি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আইনমন্ত্রী যথাযথভাবে পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তরের সময় বিস্তারিত বলেছেন। আমি এটা বলার পর তারা বলেছেন- এটা মানবিক কারণে দেয়া যায় কিনা। সেটি বিবেচনা করার জন্য পত্র আমার কাছে দিয়েছেন। এটা আমি যথাযথভাবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেবো।

বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, কারাগারে যাওয়ার দরকার কি। খালেদা জিয়ার বাড়িকেই সাবজেল ঘোষণা করা যেতে পারে। সেখান থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানো সম্ভব। সরকার চাইলে তা করতে পারে। বিদেশি চিকিৎসক আনা প্রসঙ্গে জিএম সিরাজ বলেন, ডাক্তার আসলে কি হবে, সার্জারির দরকার হলে সেই ইকুইপমেন্ট কোথায়?

সাংসদ হারুনুর রশিদ বলেন, এই সরকারের জমানায় অন্তত ৩০ জনেরও বেশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সাজা মওকুফ করা হয়েছে।

সাংসদ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিন বছর তার ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার কোনো চিকিৎসা হয়নি।

XS
SM
MD
LG