অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার এখন ২ শতাংশের নিচেঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


বাংলাদেশে করোনাভাইরাস কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্কুল খোলার পর ঢাকার একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। (ফাইল ফটো-মোহাম্মাদ পনির হোসেন/রয়টার্স)
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্কুল খোলার পর ঢাকার একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। (ফাইল ফটো-মোহাম্মাদ পনির হোসেন/রয়টার্স)

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমানে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে নাজমুল ইসলাম এ কথা জানিয়ে বলেছেন গত এক সপ্তাহ যাবত করোনা সংক্রমণের হার নিন্মমুখি যা ২ শতাংশের নিচে রয়েছে। বলেন গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন দেশে করোনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও সুযোগ নাই। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় করোনা সংক্রমণের হার যাতে শূন্যতে নামিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। টিকা গ্রহণে পাশাপাশি পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই দেশ থেকে করোনা মহামারিকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন সারা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ হার নিন্মমুখি হলেও ইতিমধ্যেই পৃথিবী জুড়ে ২৫ কোটি ৮৪ লাখের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫০ লাখের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের হার অনেক বেশি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন আফ্রিকায় সংক্রমণ হার অত্যন্ত কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ জানিয়েছে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১,৫৭১,০১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন মোট ২৭, ৮৯৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১,৫৩৪,৮২৫ জন করোনা রোগী ।

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন সার্বিক ভাবে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তিনি বলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার বিকল্প নাই বলে উল্লেখ করে তিনি বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন । স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মোতাবেক গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ২৪,৬৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৩,৮৫৮ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন ।

XS
SM
MD
LG