অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য শীঘ্রই আইন করা হবে: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক


সুজনের সদস্যরা সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া হস্তান্তর করেন। ছবি সৌজন্য: সুজন।
সুজনের সদস্যরা সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া হস্তান্তর করেন। ছবি সৌজন্য: সুজন।

বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য শীঘ্রই একটি আইন করা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কিন্তু আগামী নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনে হবে না।

রোববার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার সংক্রান্ত আইনের ওপর বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন শীঘ্রই সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠনের ওপর একটি বিল উত্থাপন করা হবে। সংসদের আগামী বা তার পরের অধিবেশনেই নির্বাচন কমিশন গঠনের বিলটি উত্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন তবে এবারের নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনে হবে না।

এর আগে বিলটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির হারুনুর রশিদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন কমিশন গঠন এবং উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য পৃথক আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন দুটি আইনেরই খসড়া করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের একটি ড্রাফট করেছে এবং সেটা তাঁর কাছে হস্তান্তর করেছে। তখন সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তাঁদের খসড়ায় সবই আছে তাই এটাকে অধ্যাদেশ আকারে করে দিলেই তো হয়ে যায়। আনিসুল হক বলেন এর জবাবে তিনি বলেছেন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আইনটি করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি বরং বাড়িয়েছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ২০২২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে শেষ হলে নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে পূর্ববর্তী ২ কমিশনের মতো আসন্ন নির্বাচন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন।

সংসদে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্বাচন কমিশন যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সেহেতু এটা একটি আইনের মাধ্যমেই করা জরুরী । এর আগে পর পর যে দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে সেগুলো সার্চ কমিটির মাধ্যমেই করা হয়েছে । তিনি অভিযোগ করেন সর্বশেষ যে নুরুল হুদা কমিশন গঠন করা হয়েছে তার আমলে গত পাঁচ বছরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় এবং পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি ঘটে তবে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য এখনো আড়াই মাস সময় হাতে রয়েছে এবং সরকার ইচ্ছা করলে সংসদের চলতি অধিবেশনে অথবা একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইনটি পাশ করতে পারে । তা নাহলে সরকার অধ্যাদেশ আকারে এ সংক্রান্ত আইন জারি করতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন এ অধ্যাদেশকে সংসদ সদস্যরাই সংসদে পাশ করবেন। এতে করে সংসদ সদস্যদের সন্মান হানির কোন কারণ নাই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন গত দুই সার্চ কমিটিতে কোন সংসদ সদস্য ছিলেন না । তিনি বলেন বরং সুজনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাতে ৭ সদস্যের সার্চ কমিটিতে অন্তত ৩ জন সংসদ সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG