অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দেশে আরেকটি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি বা রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফটো- পিআইডি
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি বা রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফটো- পিআইডি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে আরেকটি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি বা রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করে বলেন, তাঁর সরকারের ইচ্ছা দ্বিতীয় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পদ্মার ওপারে অর্থাৎ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্থাপন করার। তিনি বলেন যদি আরেকটি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যায় তবে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। এ জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

পরমাণু শক্তিকে বাংলাদেশ শান্তির জন্য ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন তাঁর সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে বাংলাদেশের নিজস্ব দক্ষ জনবলও তৈরি হচ্ছে ।

পরিবেশের ওপর পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে কিনা সে সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণত নিরাপদ হয়ে থাকে। তিনি বলেন কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি ঠিক থাকে তবে কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। রুপপুরে যে কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যেহেতু সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে সেহেতু কোন প্রকার দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও নাই বললেই চলে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চুল্লিটি স্থাপনের ফলে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে এবং সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে।

রূপপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং রোসাটম-এর মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।

XS
SM
MD
LG