বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও ভোটারের তেমন সাড়া নেই। আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরার প্রমাণ পেয়ে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রাতে ভোট দেয়ায় সহযোগিতার অভিযোগে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভোট জালিয়াতি রুখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন পুলিশ কনস্টেবল। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়াসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাচন বর্জন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এর আগে উপজেলা পরিষদের প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসেবে ভোট পড়ে ৪২ শতাংশের মতো।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল মনে করেন দেশে যেখানে রাজনীতি নেই। সেখানে ভোটারদের আগ্রহ থাকার কথা নয়।
গত ১০ই মার্চ প্রথম ধাপে এবং ১৮ই মার্চ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।
রোববার ১১৭টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ৬ টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচনই হয়নি। তিন ধাপের নির্বাচনে ১৩২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোট শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ন হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১৪টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। একটি উপজেলার পুরো ভোটই স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।
মোট পাঁচ ধাপে ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলাসহ পরবর্তী সব নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী জোট।