বাংলাদেশের সাবেক সেনাশাসক, প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ রংপুরে তার নিজ বাড়িতে সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি এবং দাবির সমর্থনে শক্ত অবস্থান গ্রহণের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুরে গিয়ে পৌঁছায় এবং মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর কালেক্টরেট মাঠে চতুর্থ দফা জানাযার জন্য। অসংখ্য মানুষ জানাযায় অংশ নেন। জানাযার শুরুতে রংপুরেই এরশাদকে সমাহিত করতে হবে এমন দাবিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা কঠোর অবস্থান নিলে বেশকিছু সময়ের জন্য হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে রংপুরেই এরশাদের দাফনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জেনারেল এরশাদকে ঢাকায় বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে সাবেক এই সেনাশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা কারণে আলোচিত সমালোচিত হলেও তিনি মোটামুটি সব সময় কোন না কোন রাজনৈতিক দল বা পক্ষের সঙ্গে থেকেছেন। জাতীয় পার্টিকে তিনি টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি রাজনৈতিক ময়দানে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকারী ও অনিশ্চিত একজন ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
এরশাদের মৃত্যুর পরে তার অবর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এমন প্রশ্নে বিশ্লেষণে করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান।