অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাংবাদিকরা পোপের কাছে জানতে চাইলেন মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা


পোপ ফ্রান্সিসকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট ‘অরুন আলো’ তখন আকাশে। সফরসঙ্গী সাংবাদিকে ঠাসা বিমানটি। শনিবার সন্ধ্যায় পোপ তিন দিনের সফর শেষ করে ঢাকা ছাড়েন রোমের উদ্দেশে। সাংবাদিকরা সুযোগ নেবেন এটাই স্বাভাবিক। পোপের কাছে জানতে চাইলেন মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ না এসে কি পারে? একাধিক সাংবাদিক জানতে চাইলেন মিয়ানমারে কেন তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি? জবাব দিলেন পোপ। তার চোখ তখন ছলছল করছে। বললেন, ওদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে কেঁদেছেন। তার কথায়, আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সুযোগ পেলে ওদের সঙ্গে কথা বলবো। কিন্তু কখন কিভাবে সাক্ষাত হবে তা জানতাম না। ঢাকায় সে সুযোগটি এলো। বললেন, ওদের সঙ্গে যখন দেখা হলো তখন তাদের কথা শুনে কান্না থামাতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, কেউ যাতে না দেখতে পায় সে রকম করেই কেঁদেছি। সাংবাদিকদের প্রশ্ন কি আর থামে? এবার সরাসরি বললেন, মিয়ানমারের খ্রিস্টানদের কথা ভেবেই তিনি সেখানে রোহিঙ্গা শব্দটি মুখে আনেননি। মিয়ানমারের আর্চ বিশপের পরামর্শ শুনে তা বলা থেকে বিরত থাকেন। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের সময় এ শব্দটি উচ্চারণ করলে আসল স্থানে খোঁচা দেয়া হতো। যদিও যা বলতে চেয়েছি তা তারা আগে-ভাগে বুঝে গিয়েছিল। পোপ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদেরকে শরণার্থী হিসাবে উল্লেখ করেন। ঢাকায় তার মুখে ছিল রোহিঙ্গা। ১৬ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাত ছিল মিয়ানমারের উদ্দেশে এক কঠিন বার্তা। পোপ বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বলেন, বাংলাদেশ ওদের ঠাঁই দিয়ে উদারতার এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:23 0:00

XS
SM
MD
LG