বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে, এনকাউন্টারে এবং ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, দেশ-বিদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন জহুরুল আলম।
জাতিসংঘ, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন সমূহ , সুশীল সমাজ এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সহ পশ্চিমা দেশগুলো এ ধরনের মৃত্যুকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। কেউ
অপরাধ করলে তাঁর বিচার করে তাকে তাঁর প্রাপ্য শাস্তি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে কোন গনতান্ত্রিক দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কাম্য হতে পারেনা। তাঁরা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত
হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্য মোতাবেক ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে আড়াই হাজারের ওপর মানুষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে, এনকাউন্টারে অথবা ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছেন। 'ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুক যুদ্ধে’ মৃত্যু,
নাকি বিচারবহির্ভূ হত্যাকাণ্ড-এর বিহিত চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে হাই কোর্টে তিনটি রিট করেছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট নিজেই স্বপ্রণোদিত হয়ে রাষ্ট্রের কাছে এর জবাব চেয়েছে। মানবাধিকার
সংস্থা গুলো বলেছে গত এক যুগেও রাষ্ট্র এর কোন জবাব দেয়নি।
সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক বিরোধী যে অভিযান শুরু করেছে তাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে, গোলাগুলিতে এবং ক্রস ফায়ারে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের ওপর সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। দেশে সার্বিক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সাম্প্রতিক মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে বিচার বহির্ভূত কার্যক্রমের বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা।
শিফা হাফিজা বলেন বাংলাদেশের সংবিধানে দেয়া সকলের জীবনের অধিকার নিশ্চিত করেই সরকারের সকল সংস্থাকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আদালত ছাড়া বিচারের ভার নিজের হাতে তুলে নেয়া কোন সভ্য সমাজে গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা
বলে তিনি মন্তব্য করেন।