রক্ষণশীল সমাজে অনেক পরিবারেই নারী একা বাইরে বেড়াতে যেতে পারে না। যদি বা কেউ একা বাইরে যান, তাকে দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসতে হয়।তবে নিরাপত্তার ব্যাপার তো আছেই। বাংলাদেশে ভ্রমণ বা ট্রাভেল ব্যবসায় এখন মেয়েরাও এগিয়ে আসছেন।
নাজমুননেসা রিপার বাসা ঢাকার মি
“আমি ২০১১ সালে যখন বিবিএ পড়ি তখন থেকে ভ্রমণ করার বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করি। বিবিএ যখন ফাইনাল ইয়ারে
২০১৮ সাল থেকে রিপারা দু’বোন মিলে ট্রাভে
প্রথমে ৭ থেকে ৮ জন নিয়ে ভ্রমণ শুরু করি। এখন ১২ জন অথবা ২৪ জনকে নিয়ে ট্যুর করছি দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যেমন, রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যা
রিপা শুরুর দিকটায় এই ব্যবসায় তেমন লাভ করতে পারত না। কারণ তখন ব্যবসার বিষয়গুলো ভা
চরকা ট্যুর এন্ড ট্রাভেলের বুকিং
রিপা বলেন, এই ট্রাভেল ব্যবসা নারীদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যবসা। “আমার সাথে কোন পুরুষ নাই বলে আমি ব্যবসাটা বড় করতে পারছি না। আমরা যখন কোন দল নিয়ে নতুন কোন দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার চিন্তা করি সেখানে হোটেল বুকিংয়ের জন্য কথা বলতে গেলে তারা আমাকে অনেক কিছু প্রশ্ন করে। অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়। তারা আমাদের নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা বলে নারী হয়ে আবার ট্রাভেল গ্রুপ নিয়ে আসবে কিভাবে? যাদের নিয়ে ট্রাভেল করতে যাই তাদের মধ্যেও প্রথমে সংকোচভাব বোঝা যায়”।
অন্যান্য ব্যবসার মত করোনা মহামারীর সময় রিপার ট্
রিপার এই ব্যবসা করে প্রতি মাসে সমস্ত খরচ শেষে ২০/৩০হাজার টাকা লাভ থাকে।তিনি যেহেতু এখনও অবিবাহিত তাই একা থাকায় ব্যবসা এবং চাকরি করে মোটামুটি চলে যাচ্ছে।
রিপা বলেন, “বাংলাদেশে নারীদের ভ্রমণ করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও আমাদের কোন সমস্যা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাই তাই নারীদের ভ্রমণে কোন দুশ্চিন্তা নেই। আজকাল বাংলাদেশের নারীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করে তুলছে। ঘরে বাইরে সমান তালে কাজ করছে। তাই আমি বলব আমরা নারী আমরাই পারি”।
( রিপোর্ট: নাসরিন হুদা বিথী )