সাগর পথে ইঞ্জিন নৌকায় করে প্রায় ৩শ’ রোহিঙ্গা জুনের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পরে দেশটি তাদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করায় ওই রোহিঙ্গারা এখনও সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছেন। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডও তাদের গ্রহণে অসম্মতি জানায়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইসসিআর এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই ভাসমান রোহিঙ্গাদের কেউই গ্রহণ করতে না চাওয়ায় শুক্রবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি ওই ভাসমান রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, ওই রোহিঙ্গারা বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি দ্বীপের কাছাকাছি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, গত ৮ জুন মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ অপর একটি নৌকায় করে যাওয়া ২৯৬ জন রোহিঙ্গাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই নৌকাটি সাগরে ভেঙ্গেচুড়ে যায়। পরে ওই রোহিঙ্গাদের গ্রহণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে অনুরোধ জানালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অসম্মতি জানিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের কোন দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। উল্লেখ্য, এই মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৩০৫ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ গ্রহণ করে এবং ভাসানচরে আশ্রয় দেয়। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, গত দেড় বছর সময়ে কমপক্ষে ৩শ’ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সাগরে নৌকাডুবিতে মারা গেছেন এবং প্রায় ৫শ’ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এনজিও ব্র্যাকের অভিবাসন সংক্রান্ত ইউনিটের প্রধান শরীফুল হাসান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ায় যথেষ্ট বিপদ ও ঝুঁকি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং বাংলাদেশ অভিবাসন প্রশ্নে তাদের নীতি-কৌশল কঠোর করায় রোহিঙ্গাদের সাগর পথে যাত্রা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে।