অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে থাকার জন্যই নালিশ করেছি: প্রিয়া সাহা


প্রিয়া সাহা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে এক আলোচিত নাম। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাপারে নালিশ জানিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তার বিরুদ্ধে ৪টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু অনেকটা নাটকীয়ভাবে সরকার মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রিয়া সাহা এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরবেন। তার কথায়, দেশে থাকার জন্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছি।


কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন এই প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে যান।
ভিডিও বার্তায় প্রিয়া সাহা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে দেয়া বক্তব্য থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। যা বলেছেন তা প্রধানমন্ত্রীরই কথা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যা বলেছেন তার বাইরে তিনি কিছুই বলেননি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কমন আছেন? এর জবাবে প্রিয়া বলেন, ভালো নেই। দেখছেন না পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে? আমার পরিবার ভীষণ সমস্যায় আছে। বাসার তালা ভাঙ্গতে চেষ্টা করা হয়েছে। বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমার পরিবারের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এতে করে পরিবারের সবার জীবনকে বিপন্ন করা হয়েছে। প্রিয়া বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তিনি করতে চাননি। যা বাস্তব তাই তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। উদাহরণ হিসেবে বললেন, ২০০৪ সালে তার গ্রামে ৪০টি পরিবার ছিল। এখন ১৩টি পরিবার আছে। এই মানুষগুলো কোথায় আছে সেটা রাষ্ট্রের দেখার কথা।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, প্রিয়া সাহাকে যুক্তরাষ্ট্র পাঠানো হয় মার্কিন দূতাবাসের মনোনয়নে। তাদের মনোনীত অংশগ্রহণকারী তাদের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে কোন ভয়ঙ্কর মিথ্যা বক্তব্য দিলেন। তাদের উচিত ছিল তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানানো। কিন্তু তারা তা করেনি। এ থেকে মার্কিন দূতাবাসেরই দুরভিসন্ধি প্রকাশ পায়। এই ধরনের কাজের পেছনে একটাই কারণ চিন্তা করা যায় মানবিকতার দোহাই দিয়ে আমাদের এই অঞ্চলে সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। মনে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগেই মার্কিন এক কংগ্রেসম্যান একটি বক্তব্যে বলেছিলেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য বাংলাদেশের দখল করা উচিত। উপসংহারে তিনি লেখেন, প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিস্কারভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সৌভাগ্য হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতিতে বিশ্বাসী নন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:18 0:00

XS
SM
MD
LG