অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাইডেন-বেনেট বৈঠক বিলম্বিত


ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবার তাদের দু'জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দেখা হবার কথা ছিল। তবে আফগানিস্তানের ঘটনার কারণে তাদের আলোচনা শুক্রবার পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। ইসরাইলের একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের সাক্ষাৎতের জন্য নতুন কোন সময় নির্ধারন করা হয়নি।

বেনেট এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। ইরান যাতে পারমানবিক শক্তিধর দেশে পরিনত হতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই ইসরাইলের মূল এজেন্ডা।

ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বেনেটের ওয়াশিংটনে প্রথম সফর সফলভাবে শুরু হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, বেনেটের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো বাইডেনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরী করা।

এর আগে জানা যায়, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইরান, নিরাপত্তা সমস্যা এবং করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে যাবেন।

বাইডেন প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, "ইসরাইলের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য এই বৈঠকে সরাসরি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শোনার সুযোগ পাবেন প্রধানমন্ত্রী বেনেট।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অংশগ্রহণের অবসানের কারণে এখন সেই সম্পদগুলো অন্যান্য দিকে ব্যবহার করা যাবে। ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক অগ্রাধিকার পাবে।

আলোচনার একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হবে ইরান, তার পারমাণবিক কর্মসূচী এবং দেশটির কর্মকর্তারা যাকে " ঐ অঞ্চলে অস্থিতিশীল কার্যক্রম" বলে অভিহিত করেছেন।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, "ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী নাটকীয়ভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ছে এবং এটি সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে ত্বরান্বিত হচ্ছে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা, এবং দুই নেতা, আমার মনে হয়, একসঙ্গে বসে কী করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে কয়েক দফা পরোক্ষ আলোচনা করেছে যাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সীমিত করেছে। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে কাজ করছে এমন উদ্বেগের মধ্যেই এই চুক্তি হয়েছে, যা তারা অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮সালে চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং ইরান পরবর্তীতে তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে পরিশোধিত ইউরেনিয়ামের মজুদ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধতার উচ্চতর স্তরে পরিশোধনের কাজ শুরু করে।

বেনেট রবিবার বলেন, "আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলবো যে ইরানিদের থামানোর সময় এসেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ পারমাণবিক চুক্তিতে পুনরায় প্রবেশের মাধ্যমে যেন কোন সুযোগ না দেয়া হয়।

XS
SM
MD
LG