বৃহষ্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমেরিকান কুটনৈতিক সফরে থাকছে যেখানে বিশ্বের সব চেয়ে ধনী দেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক প্রধান শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন । এই জলবায়ু বিষয়ে বড় রকমের ঝুঁকি রয়েছে এবং এর সুদূর প্রসারী তাতপর্য রয়েছে।
বাইডেন প্রথমে ৩০-৩১শে অক্টোবর রোমে জি-টুয়েন্ট শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর নেতারা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যে বিষয়গুলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে সে সব নিয়ে আলোচনা করবেন। তার পর তিনি গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন ‘এ যোগ দেবেন। সম্মেলনটি শুরু হচ্ছে ১লা নভেম্বর। তবে প্রথমেই তিনি দেখা করবেন শক্তিশালী ক্যাথলিক গির্জার প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে। বাইডেন নিজেও এই মতবাদের বিশ্বস্ত অনুসারি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেহেতু এই দু’টি শীর্ষ সম্মেলনের কোনটিতেই সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না
সালিভান বলেন , “ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ সেখানে থাকবে এবং তারা আলোচ্যসূচীর ক্ষেত্রে তত্পর ও একতাবদ্ধ থাকবে। এই কয়েকটি বিষয়ের উপর বাইডেন ও অন্য নেতারা তাঁদের বৈঠকে আলোকপাত করবেন ।
জলবায়ু সংকট
জলবায়ু বিষয়ক প্রায়োগিক কার্যক্রম আরও জোরালো ভাবে বাস্তবায়ন করার উপর রোমের বৈঠকে জোর দেয়া হবে। ১৯টি বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিসম্পন্ন রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত জি-টুয়েন্টি বিশ্বের জনসংখ্যার দুই -তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে এই গোষ্ঠীতে রয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদনের ৮০% এবং বিশ্বের প্রায় ৭৫% গ্রীন হাউজ গ্যাস নিষ্ক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।
আশা করা হচ্ছে এই দেশগুলো আরও নিষ্ক্রমণকমানোর প্রত্যয় প্রকাশ করবে যাতে করে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করতে পারে। সেখানে বিশ্বে উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে , বস্তুত সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ন আমিয়ে ্বানার কথা বলা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে তার গ্রীন হাউজ গ্যাস নিষ্ক্রমণ অন্তত ৪৫% কমাতে হবে যাতে করে ২০৫০ সালের মধ্যে এই নিষ্ক্রমণ শূণ্যতে এসে দাঁড়ায়।
মহামারি মোকাবিলা
২০১৯ সালের পর জি-২০ নেতা্রা প্রথম সশরীরে এই সম্মেলনে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন এবং মহামারী নিয়ে উদ্বেগের কারণে এ বিষয়টি কম গুরুত্ব পাবে বলে মনে হচ্ছে। বিশ্বে টিকা সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। জি-টুয়েন্টিতে কভিড -১৯ ‘এর টীকা সরবরাহে বৈষম্যের প্রতিও আলোকপাত করা হবে। জি-টুয়েন্টির অর্থ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা আগামিতে যে কোন রকমের মহামারি মোকাবিলার জন্য নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি, ঋণ পরিশোধের বিষয়টি ঢেলে সাজানো এবং বড় বড় ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোর জন্য সর্বনিম্ন কর নির্ধারণে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।