প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে প্রতিটি আমেরিকানের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা ১৯৩০’এর দশকে ফেডারেল সরকারের পল্লী-বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের মতোই। বাইডেন উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যে ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্টের প্রেসিডেন্ট আমলের নিউ ডিল পলিসি সম্পর্কে বলেন, “ঐ নীতি ব্যাপক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রসারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল যা কীনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও অব্যাহত ছিল। প্রেসিডেন্ট বলেন, “ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কোন বিলাসিতা নয়, এটি পানি ও বিদ্যুতের মতোই প্রয়োজনীয়”।
কংগ্রেস যাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি ডলারের অবকাঠামো বিষয়ক দ্বিদলীয় প্রস্তাব অনুমোদন করে সে লক্ষ্যেই ওয়াশিটনের বাইরে এটি হচ্ছে প্রেসিডেন্টের সর্বসাম্প্রতিক ভাষণ। এই থোক প্রস্তাবের লক্ষ্য হচ্ছে, যেমনটি বাইডেন বলেন, “ভাল বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে, আমাদের রাস্তা এবং সেতুগুলো মেরামত করে “ খেটে খাওয়া মানুষের কর্ম-সংস্থান প্রসারিত করা।
হোয়াইট হাউজ জোর দিয়েই বলছে যে এই অবকাঠামো বাবদ ব্যয়ে সৃষ্ট ৯০% চাকরিই সেই সব শ্রমজীবি মানুষ পাবে যারা কলেজ- শিক্ষা পায়নি। হোয়াইট হাউজের মতে এর মধ্যে রয়েছে গণ পরিবহনের ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি বিনিয়োগ। হোয়াইট হাউজের এক স্মারক লিপিতে বলা হয়েছে নির্মাণ কাজের এই থোক প্রস্তাব হচ্ছে ২০০৮-০৯ সালের মহামন্দার পরে অবকাঠামো বিনিয়োগের চারগুণ বেশি এবং ১৯৩০ সালের মন্দার পর সব চেয়ে বড় আকারের বিনিয়োগ ।