হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমি জেলেনস্কীর সঙ্গে রবিবার কথা বলবেন। ইউক্রেন-রুশ সীমান্ত কি ভাবে উত্তেজনা হ্রাস করা যেতে পারে সে নিয়ে একদিন আগেই বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ঐ কর্মকর্তাটি বলেছেন বাইডেন ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুণর্ব্যক্ত করবেন, দেশটির সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ঐ অঞ্চলে পরিস্থিতি শান্ত করতে কুটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রস্তুতির পর্যালোচনা করবেন।
বৃহষ্পতিবারের ফোনালাপে ইউক্রেনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতারা পরস্পরকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন কিন্তু জানুয়ারি মাসে পরিকল্পিত নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সম্পর্কে দুটি দেশই পরে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। জানুয়ারির ঐ আলোচনায় রাশিয়ার সামরিক কর্মকান্ডের প্রতি আলোকপাত করা হবে যার ফলে রাশিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার হুমকির সম্মুখীন।
এই দুই নেতার মতবিনিময়ের কারণে দেশগুলির মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো। ৯-১০ জানুয়ারির বৈঠক হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে। তার পরই ১২ই জানুযারি রাশিয়ার সঙ্গে নেটোর একটি অধিবেশন বসবে এবং ১৩ই জানুয়ারি মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও যোগ দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য শুক্রবার নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে।
কানাডা এবং ইটালির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে সংলাপে ব্লিংকেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আরও আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্য একতাবদ্ধ ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আলোচনা করেন। তারা এ ধরণের যে কোন কর্মকান্ডের জন্য রাশিয়াকে যে “কঠোর মূল্য” দিতে হবে সে বিষয়ে তাদের সহমত নিয়েও আলোচনা করেন।