অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি বিশ্বব্যাপী শুভেচ্ছা ও স্বাগতম


যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত বাণী আসতে থাকে। কোন কোন ইউরোপীয় নেতা যাঁদের সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ভাল ছিল না তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ঊরসুলা ভন দের লেয়েন গতকাল বলেন,“চার বছর পর আবার ইউরোপ হোয়াইট হাউজে একজন বন্ধুকে পেয়েছে”। তিনি বলেন,“আমরা আমেরিকায় এই নতুন প্রভাতের প্রতীক্ষায় ছিলাম”। তিনি ব্রাসেলস এ ইউরোপীয় বিধায়কদের বলেন, “ইউরোপ আমাদের সব চেয়ে পুরোনো এবং সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মিত্রের সঙ্গে নতুন সূচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন যে, তিনি আশা করছেন বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভাজন মোচন করতে পারবেন এবং তাঁর এই অভিষেক হচ্ছে বিশ্বের জন্যে আশার বার্তা।

জার্মান প্রেসডেন্ট ফ্র্যাংক ওয়াল্টার স্টেনমাইয়ার গতকালকে গণতন্ত্রের জন্য একট ভাল দিন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আমি স্বস্তি বোধ করছি যে, জো বাইডেন আজ প্রেসিডেন্ট হিসবে শপথ নিয়েছেন এবং হোয়াইট হাউজে আসছেন। স্টেনমাইয়ার আমেরিকান গণতন্ত্রের শক্তি ও সহিষ্ণুতার প্রশংসা করেন এবং বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে অনেক চাপ সত্বেও গণতন্ত্রই মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ বৈরিতা সত্বেও আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন নির্বাচনের কর্মীরা, গভর্ণররা, বিচার বিভাগ এবং কংগ্রেস প্রমাণ করেছে তারা কতখানি শক্তিশালী। জার্মান চান্সালার আজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সমঝোতা করার অনেক বেশি সম্ভাবনা তিনি দেখছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, “কভিডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে, প্রতিরক্ষায়, নিরাপত্তায়, গণতন্ত্রের বিকাশ ও সুরক্ষায়, আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের দুটি দেশ হাতে হাত রেখে কাজ করবে। ইটালি ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রীরা, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টল্টেনবার্গ বাইডেন ও হ্যারিসকে এক টুইট বার্তায় অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, “ আজ ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক জোটের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্রী হুয়া চিনুইং গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন চীনের নেতারা আশা করছেন, বাইডেন প্রশাসন পারস্পরিক মর্যাদা, সমতা এবং স্বার্থ রক্ষার চেতনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্রে সম্পর্ককে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, তিনি আশা করছেন বাইডেন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবার যোগ দেবেন এবং ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিলেন তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্য মিত্রি পেসকফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামি দিনগুলোতে তিনি আমেরিকা-রাশিয়া সম্পর্কে কোন রকম পরিবর্তন দেখেন না। ও দিকে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে টোকিওর রাস্তায় শ ‘খানেক লোক নেমে আসে।

XS
SM
MD
LG