যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলছেন তিনি সাম্প্রতিক অস্ত্রবিরতির পর গাজায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সাড়ে সাত কোটি ডলার প্রদান অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসকে প্রস্তাব দেবেন। ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের অবসান ঘটায় এই অস্ত্রবিরতি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রামাল্লায় আলোচনার পর মঙ্গলবার ব্লিংকেন এই ঘোষণা দেন। ব্লিংকেন বলেন আমরা জানি এই সর্বসাম্প্রতিক সহিংসতা এমন বেশ কিছু বিষয়ের লক্ষণ যার প্রতি আমাদের আলোকপাত করতে হবে যদি আমরা এর পূণরাবৃত্তি রোধ করতে চাই; আর সে নিয়েই আমরা আজ আলোচনা করেছি। তিনি আরও বলেন আমরা অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানাই তবে সেটাই যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে অস্ত্র বিরতিকে কাজে লাগাতে হবে এবং প্রকৃত অর্থে ইতিবাচক দিকে অগ্রগতি সাধন করতে হবে।
ব্লিংকেন মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসনের এই বিশ্বাসের পূণরাবৃত্তি করেন যে দুই-রাষ্ট্র সমাধান হচ্ছে একমাত্র উপায় যেখানে ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করা যায় । আর অবশ্য ফিলিস্তিনিদেরও একটি রাষ্ট্র দিতে হবে যা তাদের ন্যায্য পাওনা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তার কনস্যুলেট দপ্তর আবার খুলবে যা কীনা ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছিল এবং তাত্ক্ষণিক দূর্যোগকালীন সহায়তা হিসেবে ৫৫ লক্ষ ডলার দেবে আর জাতিসংঘের জরুরি মানবিক ত্রাণ বাবদ আরও তিন কোটি কুড়ি লক্ষ ডলার দেবে। ব্লিংকেন বলেন সেখানে,“আমাদের কনসুলেট আবার খুলে দেয়ার বিষয়টি হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করা এবং আমাদের দেশকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যুক্তরাষ্ট্র অভিহিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যারা গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের সম্পর্কে ব্লিংকেন বলেন , “ আমরা এমন ভাবে কাজ করবো যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় এই পূণঃনির্মাণ প্রচেষ্টা থেকে হামাস যাতে লাভবান না হয়।
এর আগে জেরুজ্লেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের প্রতিরক্ষার জন্য ইসরাইলের অধিকার তুলে ধরেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানইয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ব্লিংকেন বলেন যে এই লড়াইয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি উভয়েরই প্রচন্ড ক্ষতি হয়েছে এবং তাই আশা, সম্মান ও আস্থা স্থাপনের জন্য সামনে আরও অনেক কাজ রয়েছে”।