অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কাতার ও জার্মানি সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন


পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান সম্পর্কে কথা বলেন।৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান সম্পর্কে কথা বলেন।৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আগামী সপ্তাহে কাতার ও জার্মানি সফরে যাবেন।

শুক্রবার ব্লিংকেন পররাষ্ট্র দফতরে সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি রবিবার যাত্রা শুরু করবেন এবং কাতারের প্রতি "গভীর কৃতজ্ঞতা" প্রকাশ করবেন।উদ্ধার অভিযানে কাতারকে প্রধান কেন্দ্র করে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজে করে নিয়ে আসা হাজার হাজার আফগান শরণার্থীকে প্রথমে কাতারে নেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক জানান, আমেরিকান সৈন্যদের ধন্যবাদ জানাতে এবং আফগান শরণার্থীদের সাথে দেখা করতে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির একটি আমেরিকান বিমান বাহিনীর ঘাঁটি রামস্টেইন যাবেন।

এছাড়াও, ব্লিংকেন বলেন যে তিনি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস’ এর সঙ্গে আফগানিস্তান বিষয়ে ২০-দেশীয় মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বলেন, এই ২০টি দেশের সব ক’টিরই "আফগানদের স্থানান্তর ও পুনর্বাসনে সাহায্য করা ও তালিবান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে কিনা তা নিশ্চিত করার দায় রয়েছে।

আফগান নাগরিক ও অন্যান্যরা যারা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চান তাদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান। কিন্তু অনেক আফগান তাদের প্রতিশ্রুতি কতটা নির্ভরযোগ্য তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার তার মন্তব্যে ব্লিংকেন আবারও আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের পক্ষে কথা বলেন, জানান যে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক আমেরিকান নাগরিক ঐ দেশে রয়ে গেছে এবং পররাষ্ট্র দফতর তাদের সকলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, "দোহায় আমাদের নতুন দল কাজ করছে এবং আফগানিস্তানে রয়ে যাওয়া প্রতিটি আমেরিকান নাগরিককে সহায়তা করার জন্য একজন করে লোক নিয়োগ করা হয়েছে।

ব্লিংকেন আরও বলেন, এই সপ্তাহে আমেরিকান সৈন্যদের সর্বশেষ দলটি আফগানিস্তান ত্যাগ করার আগে পররাষ্ট্র দফতর ঐ দেশে রয়ে যাওয়া আমেরিকান নাগরিকদের সঙ্গে ১৯বার যোগাযোগ করে। তাদের মধ্যে অনেকেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এবং দীর্ঘদিন সে দেশে বসবাস করছেন।ঐ দেশে তারা থেকে যাবেন কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো আমেরিকান যারা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিশেষ অভিবাসী ভিসা প্রার্থী ও অন্যান্য আফগান যারা যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছে তাদের সহায়তা দানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

১৫ই আগস্ট তালিবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কাবুল থেকে উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থাপনার জন্য বাইডেন প্রশাসন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং অন্যান্যদের সমালোচনার মুখে পড়ে।যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সামরিক বিমান এবং সামরিক সদস্যরা সোমবার মধ্যরাতের আগে সে দেশ ত্যাগ করে। আনুমানিক ২০০ আমেরিকান নাগরিক ও অসংখ্য ঝুঁকিতে থাকা আফগান যারা যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছিল তাদের আফগানিস্তানে রেখেই চলে আসা হয়।

XS
SM
MD
LG