অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্লিংকেন এই প্রথম আফ্রিকায় ‘ভার্চুয়াল’ সফরে গেলেন


এই অন লাইন সফরে ব্লিংকেন যেমন Young African Leadership Initiative প্রাক্তনীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন, তেমনি তিনি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল দেখা করেছেন এবং ৯০ মিনিট পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। তিনি উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি  মোকাবিলায়  তাঁদের প্রচেষ্টা নিয়ে কথা বলেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঐ মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বি চীনের প্রবেশ সম্পর্কে কথা বলতেও দ্বিধা করেননি।

অ্যান্টনি ব্লিংকেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী যিনি আফ্রিকার ছ’টি দেশ ঘুরে আসলেন, না সত্যি সত্যিই তিনি কোথাও যাননি, ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক করেছেন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যেখানে ঐ মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশ হচ্ছে কেনিয়া এবং নাইজেরিয়া । পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন বলছেন আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির মূল বিষয় হচ্ছে সুশাসনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের U.S. government’s Young African Leadership Initiative ‘এর প্রাক্তনীদের সঙ্গে মঙ্গলবার তাঁর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। কিন্তু এই ভার্চুয়াল মত বিনিময় অনুষ্ঠান যাকে তিনি Ten Questions with Tony বলে অভিহিত করেছেন তাতে আফ্রিকান তরুণরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বিভিন্ন কঠিন প্রশ্ন করা থেকে বিরত ছিল না। ঐ মহাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে চীনের প্রভাব কিংবা ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদ সব বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন এ সব কিছুর জবাব হচ্ছে সত্ এবং স্বচ্ছ শাসন ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন,“আমরা আফ্রিকায় শান্তি ও নিরাপত্তাকে এগিয়ে নিতে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংক্ষিপ্ত সময়ে সেটাই মনে হয় সুরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা, সংঘাত নিরসনে সহায়তা এবং মানবাধিকারের বিষয়ে কুটনৈতিক প্রচেষ্টা”।

এই অন লাইন সফরে ব্লিংকেন যেমন Young African Leadership Initiative প্রাক্তনীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন, তেমনি তিনি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল দেখা করেছেন এবং ৯০ মিনিট পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। তিনি উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় তাঁদের প্রচেষ্টা নিয়ে কথা বলেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঐ মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বি চীনের প্রবেশ সম্পর্কে কথা বলতেও দ্বিধা করেননি। তিনি বলেন, “চীন আন্তর্জাতিক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বি রাষ্ট্র এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভাল যদি তা সমান এবং সততার সঙ্গে পরিচালিত হয়। তবে আমরা যেমনটি দেখছি শাসন পরিচালনার বিষয়ে , ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে, নিরাপত্তার বিষয়ে এবং আমাদের অংশীদারিত্বের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বেশ তফাত্ আছে”। এ সফরে বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান ঐ মহাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে ব্লিংকেন তাঁর পূর্বসূরিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে দু জন পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রতি জন একবার করে আফ্রিকা সফর করেছিলেন । ব্লিংকেনের দপ্তরের কর্মীরা বলছেন এই সফর তাঁর শেষ নয়, ভ্রমণ আবার নিরাপদ হলে তিনি প্রকৃত পক্ষেই সেখানে সফর করবেন।

XS
SM
MD
LG