বাংলাদেশে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার নেই। দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিকে, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের যে সব প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন তারা শপথ নেবেন না বলে জানানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, নির্বাচনের আগের রাতে ৯টার মধ্যে সকল দোকান-পাট বন্ধ করে সারাদেশে ভুতুরে পরিবেশ তৈরি করা হয়। এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা, সেনা সদস্যদের নিস্ক্রিয় করাসহ ১৭টি পয়েন্টে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়। স্মারকলিপি দেয়ার আগে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ভোটের অনিয়ম নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ছাড়া অন্য সবাই উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই নির্বাচন বাতিল করে নয়া নির্বাচনের দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
জার্মান পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেতা নরবার্ট রটগেন এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের নির্বাচনে যে মাত্রায় জালিয়াতি হয়েছে তাতে হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কার্যতঃ একদলীয় ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয় সরকারগুলোর উচিত সুদৃঢ়ভাবে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে নিন্দা জানানো। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সমর্থন দেয়া।
ওদিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।