অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্রিটেনে ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পদত্যাগ, গভীর সঙ্কটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী


ডেভিড ফ্রস্ট, লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে (ফাইল ছবি)।
ডেভিড ফ্রস্ট, লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে (ফাইল ছবি)।

ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্টের পদত্যাগের ফলে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। ফ্রস্ট মহামারী সম্পর্কিত বিধিনিষেধ এবং সরকারের "ভ্রমণ বিষয়ক দিকনির্দেশনা" দিয়েছিলেন।

ফ্রস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের আলোচনা তদারকি করছিলেন। তিনি গত মাসে একটি বক্তৃতায় সরকারের নীতির প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন যে ব্রিটেন সীমিত সরকার, কম কর এবং শিথিলকৃত নিয়ন্ত্রণের নতুন বিধিমালা চালু করতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুবিধা নিচ্ছে না।

শনিবার তার পদত্যাগ পত্রে, ফ্রস্ট একই প্রসঙ্গে ফিরে এসে বলেছেন, “ভ্রমণের বর্তমান দিক নিয়ে আমার উদ্বেগ সম্পর্কে আপনি অবহিত। আমি আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব কম নিয়ন্ত্রিত, স্বল্প কর, উদ্যোক্তা অর্থনীতি, আধুনিক বিজ্ঞান এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দিকে আমরা অগ্রসর হতে পারবো”।

গত সাত দিন ধরে চলমান সংকটের মধ্যে, ফ্রস্টের এই প্রস্থান জনসনের জন্য সবচেয়ে প্রচণ্ড ধাক্কা। গত সপ্তাহে, আধুনিক ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংসদীয় বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছিলেন জনসন। তার একশ’রো বেশি কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা কঠোর মহামারী বিধিনিষেধ পুনর্বহাল করার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তারা নাইটক্লাব এবং বড় বড় ইভেন্টের স্থানগুলিতে প্রবেশের জন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্টসহ প্রবর্তিত নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

এই মাসের শুরুর দিকে, ফ্রস্ট জনসনকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন, তবে জানুয়ারি পর্যন্ত তার ঘোষণা বিলম্বিত করতে রাজি হন। কিন্তু ফ্রস্টের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়, এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

XS
SM
MD
LG