বাংলাদেশে করোনাকালে বাল্যবিবাহ উল্লেখ যোগ্য ভাবে বেড়েছে বলে বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে।
ইউনিসেফ, ইউএনএফপি ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহায়তায় ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাসে দেশের মোট ৬৪ টি জেলার মধ্যে ২১ টি জেলার ৮৪ টি উপজেলায় বাল্য বিবাহের মাত্রা নিয়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল সম্প্রতি সংস্থাটি প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছ ওই সময়ে এ সকল জেলা গুলোতে অন্তত ১৩,৮৮৬ টি বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটেছে। জরিপে বলা হয়েছে যে সকল শিশুরা বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে তাদের ৫০.৬ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর, ৪৭.৭ শতাংশের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর এবং ১.৭ শতাংশের বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। করোনাকালে মানুষের আয় হ্রাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং নিরাপত্তা হীনতাকে বাল্য বিবাহ বৃদ্ধির মুল কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি বলেছে তারা জেলাগুলোর সকল ইউনিয়ন কাউন্সিলকে জরিপে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি।
সুশাসন, মানবাধিকার এবং শিশু অধিকার নিয়ে যারা কাজ করছেন তাঁরা প্রশাসনিক দুর্বলতা, আইনের প্রয়োগের ব্যর্থতা এবং করোনাকালে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা গুলোর বিষয়ে সরকারের দূরদর্শিতার অভাবকে বাল্য বিবাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারন হিসেবে উল্লেখ করেছনে। বেসরকারি সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদার জরিপ প্রতিবেদনের বিষিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন করোনাকালে বাল্য বিবাহের যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জরিপে তার আংশিক চিত্র ফুটে উঠেছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ফজলুল বারি বলেন বাল্য বিবাহ সুস্পষ্ট ভাবে মানবাধিকার ও আইনের লঙ্ঘন।বাল্য বিবাহের মাত্রার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার উপরে এবং বিশ্বের প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে একটি।