অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের ঊহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সংশোধন


চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা COVID-19 এর কেন্দ্রস্থল ঊহানে এই রোগে মৃতের সংখ্যা আরো ৫০ শতাংশ বেশি বলে আজ জানিয়েছেন। ঊহানের মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তাদের আগেকার হিসেবের সঙ্গে আরো ১২৯০ জনের মৃত্যু যোগ করেছে এবং এর ফলে এখন বলা হচ্ছে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ৩,৮৬৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও ৩২৫ জন বেড়ে এখন মোট দাঁড়িয়েছ ৫০৩৩৩ জনে। স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন যে কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল খবর দেয়া হয়েছিল কিংবা ভুল করে বাদ পড়েছিল।
এদিকে, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তাঁর প্রশাসন যে দেশের কার্যক্রম আবার খুলে দিতে চাইছে সেখানে আমেরিকানদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ট্রাম্প এবং করোনাভাইরাস বিষয়ক তাঁর টিম দেশের কর্মকান্ড পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়ার এবং আমেরিকানদের তাদের কাজে ফিরে যাবার একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের কোন কোন অংশ তাদের কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং অন্তত আরো ২৯টি অঙ্গরাজ্য খুব শিগগিরই লকডাইন খুলে দিতে প্রস্তুত থাকবে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের গভর্ণরদরে উপর ছেড়ে দেয়া হবে।

তাঁর এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগে ওয়াশিংটন ডিসি’র মেয়র মিউরিয়েল বাউজার শহরটি বন্ধ রাখার মেয়াদ মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন, যে পর্যন্ত না এক নাগাড়ে দু'সপ্তাহের জন্য আক্রান্তের সংখ্যা নামতে থাকে সে পর্যন্ত এই পদক্ষেপ চালু থাকবে।

গতকালই হোয়াইট হাউজ COVID-19‘এর প্রসার ও উৎসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন দানের জন্য তাদের অ্যাকশান প্ল্যান প্রকাশ করেছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক শরীকদের সহায়তার জন্য একটি সামূহিক প্যাকেজ।

যুক্তরাষ্ট্রে COVID-19 এ সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এখানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৭৭,০০০ এবং প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩৫,০০০ লোক। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার এক তৃতীয়াংশই হচ্ছে নিউইয়র্কে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমে আসছে কিন্তু এই মহামারি শেষ হতে এখনো অনেক সময় বাকি।

ইউরোপের কোন কোন দেশও তাদের নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে যদিও বিশ্বব্যাপী এই রোগে আক্রান্ত ও মৃতের নিশ্চিত সংখ্যা এখনো অব্যাহত ভাবে বাড়ছে। জার্মানি, ডেনমার্ক, ইটালি, অস্ট্রিয়া এবং স্পেন কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ঠা মে থেকে খুলে দেবার কথা ভাবছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকালই জানিয়েছে যে, এই দেশগুলো কি ভাবে এই সব বিধিনিষেধ শিথিল করতে পারবে সে ব্যাপারে তারা আগামি সপ্তাহে কিছু নির্দেশনা দেবে। তবে যে সব দেশে এই সংকট এখনো বেড়েই চলেছে সে সব দেশের সরকার কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। গতকাল জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গোটা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি বলেন, এই নতুন পদক্ষেপ ৬ই মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র‌্যাব গতকাল ঘোষণা করেন যে সে দেশের লক ডাউন আরো কমপক্ষে তিন সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করেনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠছেন।

XS
SM
MD
LG