এক লক্ষেরও বেশি লোক কভিড ১৯ ‘এ মারা যা্ওয়ায় এখন ল্যাটিন আমেরিকাই হচ্ছে বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন কেন্দ্রস্থল। ব্রাজিল ঐ অঞ্চলে শীর্ষে রয়েছে, সেখানে এগারো লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার নয় শ ছয়জন সংক্রমিত হয়েছে যার মধ্যে বাহান্ন হাজার ছয় শ পঁয়তাল্লিশ জন মারা গেছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসেবে মতে মৃত্যু ও সংক্রমিতের সংখ্যার দিক দিয়ে ব্রাজিলের স্থান এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরই। মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় ব্রাজিলে নতুন করে ৩৯,৪৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছে, মারা গেছে আরও ১৩০০ ‘র ও বেশি। এই মহামারি এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে একজন ফেডারেল বিচারক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মাস্ক না পরলে প্রতিদিন তাঁর জরিমানা হবে ৪০০ ডলার করে। বিচারক বলেন প্রেসিডেন্ট ব্রাসিলিয়ার স্থানীয় আইন ভঙ্গ করছেন যে আইনের লক্ষ্যই হচ্ছে এই ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনা। এতদিন বলসোনারো বিশাল সব রাজনৈতিক সমাবেশে যেখানে তিনি ভোটদাতা ও শিশুদের খুব কাছাকাছি গেছেন সেখানে মাস্ক পরতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসছেন।
এদিকে বিশ্লেষকরা সাধারণ ভাবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পা্ওয়ার কারণ হিসেবে সেখানে ব্যাপক দারিদ্র, সরকারের প্রতি বড় রকমের অনাস্থা এবং বলসোনারো কিংবা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের এই রোগের গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থতা, ঝুঁকির বিষয়টি নাকচ করে দেয়া এবং কড়াকড়ি ভাবে লকডাউন আরোপ করতে ব্যর্থ হওয়াকে দায়ী করেছেন। ল্যাটিন আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পা্ওয়ায় এখন গোটা বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা হচ্ছে ৪,৭৭,০০০ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক লোক এতে সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ লক্ষ লোক এতে সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে ১,২১,২২৮ জন। এ দিকে সংক্রামক রোগ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্টনি ফাউচি গতকাল কংগ্রেসের একটি প্যানেলকে জানান যে এই সংক্রমিতদের চিহ্নিত করার জন্য আরও পরীক্ষা চালানো হবে।