বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করেছে।বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার করনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১১৪টি দেশে ১লক্ষ ১৮০০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪৩০০জন।চীনের উহানে প্রথম আবির্ভাব কোভিড-১৯ নামক এই ভাইরাসে, চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বুধবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪। তবে দেশটি এখন নতুন চ্যলাঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যান্য দেশে সংক্রমিত ব্যক্তিরা চীনে প্রবেশের পর নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিং এর কর্মকর্তারা চীনে প্রবেশ করা মাত্র তাদের ১৪দিনের পৃথকীকরণ ব্যবস্থায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
চীনের পর ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশী। সেখানে দশ হাজারের ও বেশী মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশ লকডাউনের নির্দেশ দেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতশকো এক ফেসবুক বার্তায় বলেন, কোনো ধরণের গানের অনুষ্ঠান, সমাবেশ মার্চের ১২ তারিখ থেকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং শপিং মল ও বিনোদনের স্থান বন্ধ রাখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে যাওয়াতে কর্মকর্তারা উদবিগ্ন। ওয়াশিংটন রাজ্যের গভর্নর শিগ্রহি এক স্থানে ২৫০জনের বেশী মানুষের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।নিউ ইয়র্কের গভর্নর সেখানে অস্থায়ী পৃথকীকরণ ব্যবস্থার পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
নিউ ইয়র্কে এ পর্যন্ত ১০০জনের বেশী মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেসব মানুষ এই ভাইরাসটি সংক্রমণ করছেন তাদের মাঝে লক্ষণ তেমন তীব্র নয়। তবে বলা হয়েছে বয়স্ক ও যাদের আগে থেকে শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বার বার হাত ধোয়া, মুখে হাত না দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকা এবং কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে তাহলে তারা যেন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।