ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, কোভিড পরিস্থিতি দেশকে একটা অস্বাভাবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এটাকে জাতীয় পর্যায়ে 'জরুরি অবস্থা' বলা যেতে পারে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যক ওষুধ বন্টন এবং প্রতিষেধক দানের পদ্ধতি নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছে, তা আগামীকালের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতকে জানাতে হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে আজ বৃহস্পতিবার একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় বলেছেন, "অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রাণ বাঁচানোর ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, প্রতিষেধক কোথায় কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। যেখান থেকে হোক, যেমন করে হোক, ভিক্ষা করে, চেয়ে, কিনে, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতেই হবে।" এ ব্যাপারে দেশের ছ'টি হাইকোর্টে মামলা চলছে। কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামীকালের মধ্যে সরকারের 'জাতীয় পরিকল্পনা' এই আদালতে পেশ করতে হবে এবং আগামীকালই তার শুনানি হবে।
এদিকে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট এই নোটিশ দেওয়ার দিনেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ৩ লক্ষ ১৪ হাজার লোক আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী ২১০৪ জন। সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির জ্যেষ্ঠপুত্র আশিস আজ সকালে কোভিড সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী করোনা আক্রান্ত। একই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মদন মিত্রের অন্যান্য অনেক রোগ আছে বলে তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো যাবে না।