অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

‘ভারতে থাকতে হলে জয় শ্রীরাম বলতে হবে’ - দিল্লির সমাবেশে স্লোগান নিয়ে বিব্রত বিজেপি


ইন্ডিয়া গেট ওয়ার মেমোরিয়াল। ফাইল ফটো- রয়টার্স
ইন্ডিয়া গেট ওয়ার মেমোরিয়াল। ফাইল ফটো- রয়টার্স

ঘটনাটি ঘটে গতকাল। 'ভারত জোড়ো আন্দোলন', অর্থাৎ সমগ্র ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার আন্দোলন-- এই ছিল জমায়েতের লক্ষ্য। দিল্লি পুলিশ বলছে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য ওই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওটা অননুমোদিত সমাবেশ ছিল।

ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির একেবারে কেন্দ্রস্থল যন্তর মন্তরে সরাসরি মুসলিমবিরোধী ধ্বনি, এমনকি তাদের দেশ থেকে মেরে তাড়ানোর ডাক দেওয়ার ঘটনা নিয়ে আজ বিজেপির মধ্যে কিছুটা বিব্রত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ, যে মঞ্চে এই ধরনের ধ্বনি দেওয়া হয়েছিল, সেটা বিজেপি নেতা ও কর্মীদের আয়োজিত।

যন্তর মন্তর সংসদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি থেকেও খুব কাছে। তবু তখন সেখানে কোনও পুলিশ কেন ছিল না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

ঘটনাটি ঘটে গতকাল। 'ভারত জোড়ো আন্দোলন', অর্থাৎ সমগ্র ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার আন্দোলন-- এই ছিল জমায়েতের লক্ষ্য। দিল্লি পুলিশ বলছে, কোভিড পরিস্থিতির জন্য ওই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওটা অননুমোদিত সমাবেশ ছিল।

বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়, যিনি আগাগোড়া অনেক সঙ্গীসহ ওই সমাবেশে ছিলেন ও ভাষণ দিয়েছেন, তিনি আজ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওরকম কোনও স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। তাঁর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করা এবং এই আন্দোলন বানচাল করার জন্য ইচ্ছে করে কেউ এসব করেছে।

সমাবেশে যদিও বহুবার ধ্বনি দেওয়া হয়, "ভারতে থাকতে হলে 'জয় শ্রীরাম' বলতে হবে"! বিশেষ করে মুসলমানদের উল্লেখ করে বলা হয়, তাদের জন্য ব্রিটিশ আমলের কিছু পুরোনো আইন এখনও চালু রাখা হয়েছে। সেটা চলবে না। ভারতজুড়ে সবার জন্য একই আইন থাকতে হবে। শুধু এখানেই তারা থেমে না থেকে অবাধ্য মুসলমানদের মেরে ভারত ছাড়া করার ডাকও দেয় তারা।

এই সব স্লোগানসহ একাধিক ভিডিও বিভিন্ন চ্যানেল ও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। তারপর আজ দিল্লি পুলিশ 'অজ্ঞাতপরিচয়' ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে 'এফআইআর' দায়ের করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কী হয়েছে, কারা করেছে। তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ কী ভাবে হতে পারে, যেখানে যারা সমাবেশ করেছে, ছবিতে তাদের মুখ ও পরিচয় সবই স্পষ্ট, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে চায়নি।

XS
SM
MD
LG