যে পাকিস্তানি আইনজীবি খ্রীষ্টান নারী আসিয়া বেগমের মৃত্যু দন্ডের বিরুদ্ধে , তাঁর পক্ষে হয়ে মামলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি জানিয়েছেন , এ সপ্তার গোড়ার দিকে আসিয়া বেগম বেকসুর খালাস পাবার পর তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি বলছেন যে তিনি তাঁর জীবনের নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। আসিয়া বিবিকে নিম্ন আদালত থেকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ।
জঙ্গি ইসলামপন্থি গোষ্ঠি তেহরিকে লাব্বাইক ইয়া রাসুল্লাহ, তিন দিন ধরে পাকিস্তানের প্রধান রাস্তাগুলোতে অবরোধ সৃষ্টি করে । তারা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের হত্যা দাবি করছে যাঁরা আসিয়া বেগমকে বুধবার অভিযোগ থেকে খালাস দেন। এই আইনজীবি, সাইফুল মুল্ক ৫ সন্তানের জননী আসিয়া বেগমের পক্ষে মামলা লড়েন । ২০১০ সাল থেকেই আসিয়া, মৃত্যুদন্ডের আসামি হয়ে ছিলেন । দু জন রাজনীতিক যারা তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন তাদেরকে হত্যা করা হয়। মুল্ক রয়টারকে ওয়াটসঅ্যা্পে দেয়া এক মেসেজে জানান যে তিনি অন্য দেশে চলে গেছেন। তিনি লেখেন, “ ক্ষুব্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন। আমি পরামর্শ করে দেখলাম । সকলেই বললেন , আমার দেশ ত্যাগ করা উচিৎ।
তিনি বলেন নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করলে তিনি তাঁর দেশে ফিরে যাবেন।
পাকিস্তান সরকার ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে শুক্রবার একটি সমঝোতা করার পর আসিয়ার আইনজীবি দেশত্যাগে বাধ্য হন। সেই সমঝোতায় সরকার রাজি হয় যে আসিয়া বেগমকে সে পর্যন্ত দেশ ত্যাগ করতে দেয়া হবে না, যে পর্যন্ত না এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালত আপিল শোনে