অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-এ নিজের শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে খেলতে না পারার পর, এবার ফ্রেঞ্চ ওপেন-এও বাধা হয়ে দাড়াতে পারে জোকোভিচের টিকা গ্রহণের অনাগ্রহ। মাত্র একদিন আগেই, গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি), টিকা নেওয়া না থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে সার্বিয়ায় ফিরে যেতে হয় জোকোভিচকে।
মে মাসের শেষের দিকে শুরু হতে যাচ্ছে ফ্রেঞ্চ ওপেন টেনিস প্রতিযোগিতা। টেনিস জগতে সেটি এ বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তবে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, খেলার ভেন্যুতে প্রবেশে, টিকার বাধ্যবাধকতা থেকে কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিসটোফার ক্যাসটেনার বলেন যে, নতুন একটি আইন করা হচ্ছে, যার ফলে টিকা গ্রহণ ছাড়া খেলার ভেন্যু, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য পাবলিক স্থানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ফ্রেঞ্চ ওপেন এ খেলতে আগ্রহী যে কাউকেই, এই আইন অবশ্যই মানতে হবে। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টটিকে ঘিরে, কোভিডের একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে চায় ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ।
ফ্রান্সের ক্রীড়া মন্ত্রক সোমবার জানিয়েছে, একবার আইনটি বাস্তবায়ন করা হলে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত, কাউকেই সেই নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না।
এর ফলে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যে, জোকোভিচের জন্য এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-ই হয়ত শেষ এমন টুর্নামেন্ট নয়, যেখানে টিকা গ্রহণ না করার কারণে তিনি খেলতে পারবেন না। সার্বিয়ার এই টেনিস তারকার টিকা বিরোধী মনোভাবের কারণে, ক্রমেই তিনি টিকা বিরোধীদের একধরনের আদর্শে পরিণত হচ্ছেন।
জোকোভিচের গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল তিনি ১৭ ডিসেম্বর দিনের শেষভাগে পান। কিন্তু এরপরও তিনি তার পরদিন, ল্য’ইক্যুইপ পত্রিকার সাথে আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকা একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। পরে অবশ্য তিনি তার এমন আচরণকে বিবেচনার “ভুল” হিসেবে স্বীকার করেন।
বর্তমানে বিশ্বের ১০০ জন সেরা টেনিস খেলোয়াড়দের ৯৫ শতাংশই কোভিডের টিকা নিয়েছেন। দুইজন পুরুষ খেলোয়াড়, যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস স্যান্ডগ্রেন ও ফ্রান্সের পিয়ের হিউগুয়েস হারবার্ট, টিকা নেওয়া না থাকায় বছরের প্রথম টুর্নামেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেননি।