অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সম্পাদকীয়: শ্রম দিবস ২০১৮


প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বিনম্র শ্রদ্ধা জানায় দেশের শ্রমিক-মজদুর আর দেশের অগ্রগতিতে মদত জোগানদার মেহনতি মানুষকে। প্রথম এই শ্রম দিবস পালিত হয়েছিল ১৮৮২ সালে, সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখ। দশ সহস্রাধিক নারী পুরুষ মিছিল করে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিল সেদিন এই শ্রম দিবসে ম্যানহ্যাটনের সড়কে-মহাসড়কে। শ্রমিক-মজদুরদের জন্যে অধিকতর বেতন মজুরী, তুলনামুলক হ্রস্বতরো শ্রমঘন্টা এবং উন্নততরো কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করেন যে শ্রমিক-মজদুরেরা সেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ঐ দিবস পালনের আয়োজন করেছিলেন নিউইয়র্কের কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়ন। দিনটি ছিল উৎসবমূখর ঠিকই – তবে একই সঙ্গে এ দিন ছিল ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর- কঠিন কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়েই যে যথোপযুক্ত পারিশ্রমিকও পেতে হবে এ দায়বদ্ধতার কথা ব্যক্ত করতে শ্রমিক-মজদুরেরা তাঁদের দিনের পারিশ্রমিক দান করে দেন।

আমেরিকার শ্রমিক-মজদুরেরা যুক্তরাষ্ট্রে, তাবৎ দুনিয়ায় এমনই এক গুণগত মান সম্পন্ন জীবন ধারার রূপান্তরণের উদ্ভব ঘটান এর আগে, অতীত ইতিহাসে, যা কিনা আর কখনই দেখা যায়নি। আমেরিকার কৃষিজিবীরা বিশ্বের আর যে কোন দেশের চেয়ে বেশি খাদ্য পন্য রফতানী করে থাকে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাদ্যপন্য উৎপাদনকারী দেশ চীন ও ভারতের চেয়েও বেশি দক্ষতার সঙ্গে মাথাপিছু হারে অধিকতরো মাত্রায় খাদ্য পন্য উৎপন্ন করে থাকে। বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিশোধিত পেট্রোপন্য বেশি রফতানী করে থাকে এবং বিশ্বের ৪০ শতাংশেরও বেশি মহাকাশ যান ও পরিবহন বিমান যুক্তরাষ্ট্রই রফতানী করে, রফতানী করে বিশ্বের এগারো ভাগেরও বেশি বৈদ্যুতীন যন্ত্র-সরঞ্জাম।

বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক পথ – বিস্তীর্ণ যে পথরেখা ৬৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের বলয়ে বেষ্টিত। আমেরিকায় ৯০ শতাংশ পরিবারে কমসে কম একটি করে মোটর যান রয়েছে এবং আমেরিকার শ্রমিক মজদুর প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ মোটর যান নির্মান করে থাকে- বিশ্বের মোট উৎপাদিত মোটর যানের যা কিনা প্রায় পাঁচ শতাংশ। আমেরিকার অর্থনৈতিক সাফল্যের গুরুত্বপুর্ণ একটি দিক হলো সেই স্বাধীকার – যা কিনা আমেরিকার প্রতিটি নাগরিকের করায়ত্ব – এ অধিকার, কে কি করবে, করতে চায় তা নির্ধারণের অধিকার- উদ্ভাবনের ও নতুন শিল্প গড়বার – পুরানোগুলোর নতুন আঙ্গিকে পুন:স্থাপনের কতৃত্বের অধিকার।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যেমন বলেছেন, আজ আমরা যা দেখছি, তাহলো আমেরিকার চিন্তা চেতনার উন্মেষ -নবতরো রূপায়নে।

আমাদের মিত্রেরা দেখবে – আমরিকা এখন আবার একবার নেতৃত্ব দানের জন্যে প্রস্তুত। মিত্র-বৈরি নির্বিশেষে তামাম দুনিয়ার সব দেশ দেখবে আবার মহাবলী –গর্বোন্নত, মুক্ত স্বাধীন আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন বলেন, আমাদের এ জীবনধারা কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে আমরা চাই না, আমরা ভাস্বর হয়ে রইবো, সেটাই কেবল কাম্য আমাদের। অন্য সবার জন্যে অনুকরণীয় দ্বীপ্তি নিয়ে থাকবো আমরা।

XS
SM
MD
LG