অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের সমালোচনা করা ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে


Title: Another Horrific Murder of Blogger in Bangladesh.

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের সমালোচনা করা ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। ৭ আগষ্ট নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায়কে তার বাড়িতে নির্মম ভাবে রামদা ও কাটারী দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। বাংলাদেশের সংবাদ পত্র ‘The Daily Star’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‌আনসার আল ইসলাম’ নামের একটি গ্রুপ ইমেইলের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়নি।

২০১৫ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষমনা ব্লগারদের নির্মম ভাবে হত্যা করা শুরু হয়। আর সেক্ষেত্রে ‘নিলয় নীল’ নামে ব্লগ লেখক নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায় হচ্ছেন নৃশংস ভাবে নিহত ঘাতকদের চতুর্থ শিকার। এর আগে ফেব্রুয়ারীতে ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা-বাংলাদেশে জন্মানো আমেরিকান ব্লগার অভিজিত রায়, ঢাকায় বই মেলা থেকে ফেরার পথে নির্মম ভাবে খুন হন। অভিজিত রায়ের সমর্থনে এবং ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লেখা ওয়াশিকুর রহমান একই ভাবে খুন হন মার্চে। আর মে’তে ‘মুক্তমনা’তে লেখালেখি করা ধর্মীয় মৌলবাদের কড়া সমালোচক অনন্ত বিজয় দাস, কর্মস্থল ব্যাংকে যাওয়ার পথে নির্মম ভাবে খুন হন। নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায়ও নারী অধিকার সমর্থন করে এবং চরমপন্থার নিন্দা করে ‘মুক্তমনা’তে লিখতেন।

জাতীয় বেতারে দেয়া এক সাক্ষাতকারে Bangladesh Blogger and Activist Network এর প্রধান ইমরান সরকার, নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায়কে নিপীড়িতদের কন্ঠস্বর হিসাবে অভিহিত করে বলেন, জনসম্মুখে আসা ইসলামি চরমপন্থীদের ‘হিট লিষ্টে’ নিলাদ্রীর নাম ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে ধর্ম ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু ব্লগারদের এই নির্মম হত্যাকান্ড, সে গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্যকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। এবং বাংলাদেশের সংবিধানে সংযুক্ত এ ব্যাপারে থাকা সার্বজনীন মানদন্ডকে আঘাত হেনেছে ।

নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায়ের হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই জঘন্য ঘটনা মধ্য দিয়ে আবারো প্রতিয়মান হয় যে, সহিংস চরমপন্থা রুখতে এক সাথে কাজ করা প্রয়োজন। তাই যেসব বাংলাদেশী এ ধরনের জঘন্য কর্মকান্ডের বিপক্ষে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে, তাদের পাশে থাকবে পররাষ্ট্র দপ্তর।

উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত চারটি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তা গ্রহন করা হয়নি।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:02:44 0:00

XS
SM
MD
LG