অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইভ্যালির অফিস বন্ধ, গ্রাহকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া 


ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অফিস আবারো বন্ধ হয়ে গেছে। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অফিস বন্ধ থাকবে। তবে কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মকর্তা মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিন এক প্রতারণার মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত জুনে ইভ্যালি তার অফিস বন্ধ করে দেয়। গত ২২শে আগস্ট আবার অফিস খুলে দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের প্রধান দুই সিগনেটরির অনুপস্থিতিতে সেলারদের নিয়মিত বিল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ওদিকে অফিস বন্ধ করে দেয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। শনিবারও অনেকে খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। তারা জানেন না আদৌ টাকা বা পণ্য পাবেন কিনা।

চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মন জয় করেছিল। কিন্তু তাদের টাকা হাতানোর কৌশল জানতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে আসে তারা কীভাবে জনগণকে প্রতারিত করে যাচ্ছে। হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে- প্রতিষ্ঠানটির এমডি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বা পাস করেছে এমন ছেলেমেয়েদের চাকরি দিয়েছিল ইভ্যালি। প্রায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানে। যদিও এখন অনেকেই বলছেন, তারা সময়মতো বেতন পেতেন না। কয়েক মাস থেকেই তারা কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছিল।অনেকে আবার স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ তাদেরকে প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলতে হতো। বিশেষ করে কল সেন্টারে যারা কাজ করতেন তারা বলছেন, মিথ্যা বলতে বলতে আমরা ক্লান্ত।

XS
SM
MD
LG