অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফেসবুকের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১৫০ বিলিয়ন ডলারের মামলা


একজন মহিলা ফেসবুকের নতুন মেটা লোগো'র সামনে তাঁর স্মার্টফোনে ফেসবুকের লোগো প্রদর্শন করছেন,ফাইল ছবি ২৮শে অক্টোবর, ২০২১/ছবি/দাদো রিউভিচ/রয়টার্স
একজন মহিলা ফেসবুকের নতুন মেটা লোগো'র সামনে তাঁর স্মার্টফোনে ফেসবুকের লোগো প্রদর্শন করছেন,ফাইল ছবি ২৮শে অক্টোবর, ২০২১/ছবি/দাদো রিউভিচ/রয়টার্স

মিয়ানমারের শরণার্থীরা মেটা প্লাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডকে (পূর্বেকার ফেসবুক) ১৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করছেI তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এই সামাজিক মাধ্যমটি রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণ্য ভাষণ বা বক্তৃতার বিরুদ্ধে কোনো বাবস্থা নেয় নিI

সোমবার দুটি আইনি সংস্থা, এডেলসন পিসি ও ফিল্ডস পিএলএলসি যুক্তি দিয়ে জানায় যে পুলিশের বিষয়বস্তুতে কোম্পানির ব্যর্থতা এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায় সম্পর্কে সংস্থাটির নকশা বা দৃষ্টিভঙ্গিসহিংসতায় অবদান রেখেছেI সমন্বিত পদক্ষেপ হিসাবে ব্রিটেনের আইনজীবীরা লন্ডনের ফেসবুক অফিস বরাবর একটি নোটিশও দিয়েছেনI


এই মামলা সম্পর্কে রয়টার্স মাধ্যম তাদের মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক এর জবাব দেয় নিI সংস্থাটি জানায় যে তারা মিয়ানমারের ভুল তথ্য এবং ঘৃণা প্রতিরোধ করতে ধীর ব্যবস্থা নিয়েছেএবং পহেলা ফেব্রুয়ারী অভ্যুত্থানের পরে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে সামরিক বাহিনীকে নিষিদ্ধ করাসহ এই অঞ্চলে লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

ফেসবুক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট আইনের ২৩০ ধারা অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ছাপানো বিষয়বস্তুর দায় থেকে তারা সুরক্ষিত এবং জানায় যে তৃতীয় পক্ষের ছাপানো বিষয়বস্তুর ব্যাপারে অনলাইনের মাধ্যমগুলোকে দায়বদ্ধ করা যাবে নাI সংস্থাটি জানায় যদি ফেসবুক প্রতিরক্ষা হিসাবে অনুচ্ছেদ ২৩০কে ব্যবহার করতে চায়, তবে তারাও তাদের দাবির সমর্থনে মিয়ানমারের আইন প্রয়োগ করবেI

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতগুলি বিদেশে কোনো সংস্থার কথিত অপকর্ম বা ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে বিদেশী আইন প্রয়োগ করতে পারে, তবে রয়টার্স যে দুজন আইনি বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নিয়েছে তারা জানান, সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে বিদেশী আইন প্রয়োগের নজির সম্পর্কে তারা জানেন না, বিশেষত রক্ষার জন্য যেখানে ২৩০ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করা হতে পারেI

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সামরিক দমন অভিযানের পর ৭ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যানI শরণার্থীরা জানান তারা ছিলেন গণহত্যা ও ধর্ষণের শিকারI অধিকার গ্ৰুপগুলি জনগণের হত্যা ও তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা লিপিবদ্ধ করেI

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানায় যে তারা বিদ্রোহ দমনে নিয়োজিত ছিল এবং নিয়মমাফিক বর্বরতার কথা অস্বীকার করেI

XS
SM
MD
LG