অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে আবার মারাত্মক অগ্নিকান্ড: রূপগঞ্জে ৫২ জনের প্রাণহানি


বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের অদূরে রূপগঞ্জে একটি খাদ্য তৈরির কারখানায় আগুন ধরে গেলে কমপক্ষে ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেখানকার জরুরি বিভাগ শুক্রবার জানায় কারখানার অন্যান্য শ্রমিক তাদের জীবন রক্ষার জন্য উপর-তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এই আগুনে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে এবং এই খাদ্য কারখানার বাইরে শত শত উদ্বিগ্ন লোক অপেক্ষা করে  ভেতরে আটকে পরা স্বজনদের জন্য

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের অদূরে রূপগঞ্জে একটি খাদ্য তৈরির কারখানায় আগুন ধরে গেলে কমপক্ষে ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেখানকার জরুরি বিভাগ শুক্রবার জানায় কারখানার অন্যান্য শ্রমিক তাদের জীবন রক্ষার জন্য উপর-তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এই আগুনে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে এবং এই খাদ্য কারখানার বাইরে শত শত উদ্বিগ্ন লোক অপেক্ষা করে ভেতরে আটকে পরা স্বজনদের জন্য। শিল্প ক্ষেত্রে এবং অ্যাপর্টমেন্ট ভবনে বার বার এ ধরণের দূর্যোগের কারণে বাংলাদেশে সুরক্ষার রেকর্ড নষ্ট হচ্ছে ।

২০১৩ সালে নয় তলা ভবন রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ায় ১১০০ ‘র ও বেশি লোক নিহত হয় এবং তখন থেকেই দেশটি নিরাপদ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সমালোচকরা বলছেন নিরাপত্তার মান এখনও রক্ষা করা হয়নি। এই সর্ব সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডটি ঘটে বৃহস্পতিবারঢাকার অদূরে শিল্প নগরী রূপগঞ্জের একটি খাদ্য ও পানীয় তৈরির কারখানায়। প্রায় ২৪ ঘন্টা পরও সেখানে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। দমকল বাহিনীর মুখপাত্র দেবাশীষ বর্ধন জানান, “ শ্রমিকরা ছাদে উঠতে পারেনি কারণ ছাদের দরজা তালাবদ্ধ ছিল। তারা নীচেও নামতে পারেনি কারণ নীচের তলা এরই মধ্যে আগুনে আচ্ছন্ন ছিল। পুলিশের পরিদর্শক শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন , জরুরি বিভাগ ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় আগুন নেভাতে হিমসিম খাচ্ছে। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে আমরা ভেতরে গিয়ে সন্থান ও উদ্ধার কাজ শুরু করবো । তখন বলতে পারবো সঠিক হতাহতের সংখ্যা “।

কারখানার একজন শ্রমিক মোহাম্মদ সাইফুল , যিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন, বলেন আগুন যখন লাগে তখন অনেকেই ভেতরে ছিলেন। মামুন এবং আরও ১৩ জনা শ্রমিক দড়ি বেয়ে নীচে নেমেন আসেন। ৫০ বছর বয়সী নারী পাখী বেগম বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর ছেলের খোঁজ নিচ্ছেন । তিনি এ এফ পি কে বলেন , “ সে সেখানে নেই , আমি জানিনা সে হয়ত মারা গেছে”।

(ভিওএ, এপি, এএফপি)

XS
SM
MD
LG