স্বজন হারানোর শোক ডিঙ্গিয়ে আবারও মাথার উপর ত্রিপলের ছাউনি টানছেন মোহাম্মদ হারুন। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পিতামাতা দু’জনকেই হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু কঠিন বাস্তবতায় টিকে থাকতে চলছে কঠোর সংগ্রাম।
অগ্নিকান্ডের কয়েকদিন পরও বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে লাশের অংশ বিশেষ। তাদের পরিচয় সনাক্ত করা যাচ্ছে না। অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ কেউ। আগুন পরবর্তী জীবন যুদ্ধ যেন নিজেকে নিয়েই।
২২ মার্চের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর শরণার্থী শিবিরে প্রতিদিনই ছড়াচ্ছে অগ্নিকান্ডের খবর। এরই মধ্যে ২ এপ্রিল কুতুপালং বাজারে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল আরও ৩ রোহিঙ্গার। গত তিন বছরে শরণার্থী শিবিরের অন্তত ২০টি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এমন আগুনকে রহস্যজনক বলে দাবি করছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
স্বজন হারানো আর সর্বস্ব হারানোই যেন নিয়তি রোহিঙ্গাদের। সংকটের মাঝে আর কতো সংকট পেরোতে হবে তা অজানা শরণার্থীদের।