জার্মানির একটি আদালত মঙ্গলবার, ইসলামিক স্টেটের সাবেক সদস্য তাহা আল-জুমাইলিকে ২০১৫ সালে ৫ বছর বয়সী একটি ইয়াজিদি মেয়েকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ইরাকের নাগরিক আল-জুমাইলিকেও গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাকে নিহতের মাকে ৫৭ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশও দেয়া হয়। নিহতের মা বন্দিদশা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
ইসলামিক স্টেটের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য এটাই প্রথম রায়।
নিহতের মায়ের পক্ষে পরামর্শক হিসেবে কাজ করা আইনজীবী আমাল ক্লুনি বলেন, “ইয়াজিদিরা ঠিক এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সাত বছর পর অবশেষে একজন বিচারকের কাছ থেকে তারা এমন ঘোষণা শুনতে পেয়েছেন যে, তারা যা তাদের সহ্য করতে হয়েছে তা গণহত্যা ছিল। ইয়াজিদি হওয়ার কারণে একটি মেয়েকে হত্যার জন্য এক ব্যক্তিকে তারা বিচারের মুখোমুখি হতে দেখেছেন।
জার্মান আইনজীবি বলেন আল-জুমাইলি ২০১৫ সালে সিরিয়া থেকে ঐ মা ও মেয়েকে ক্রীতদাস হিসেবে কিনেছিলেন। তারপর তিনি তাদের ইরাকের ফালুজায় নিয়ে যান এবং সেখানে তিনি তাদের মারধর করেন ও পর্যাপ্ত খাবার দেননি।
আল-জুমাইলি ২০১৫ সালে ঐ মেয়েটিকে এমন একটি কক্ষে জানালার শিকের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মেয়েটি মারা যায়।
২০১৯ সালে আল-জুমাইলিকে গ্রীসে গ্রেফতার এবং জার্মানিতে প্রত্যার্পণ করা হয়েছিল। জার্মানির কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন আইনগত অধিকারের নীতি ব্যবহার করে ঐ মামলাটি নিয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া।)