অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ‘ফেরার’ বিমল গুরুং সমর্থন করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে


সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরবঙ্গের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ‘ফেরার’ বিমল গুরুং, সমর্থন করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কে। তারপর থেকেই কিছুটা হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে পাহাড়ে। এই পরিস্থিতিতে গোটা নভেম্বর মাসই দার্জিলিংয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

আজ শনিবার টুইটে উত্তরবঙ্গ পাড়ি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়।কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা।সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাপূরণে উত্তরবঙ্গ পাড়ি দিচ্ছেন বলেই টুইটে উল্লেখ করেন জগদীপ ধনকড়। পর্যটন, আর্থিক এবং শিক্ষাগত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নতি করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি টুইটে আরও জানান, চলতি সফরে সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবেন।রাজ্যপালের সফরসূচি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে আগামীকাল ১ নভেম্বর শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। তবে কী কারণে পাহাড়ে একমাস থাকবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে এর আগে গত ২৮ অক্টোবর দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ঠিক তার পরেরদিন অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও করেন। ওই বৈঠকে বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধনকড়। তবে এই প্রথমবার নয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। যার জেরে রাজভবন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নের সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে ঠেকেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংঘাতের মাঝে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রের খবর।


XS
SM
MD
LG