কয়েকটি সাজোয়া যান নিয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌ ও বিমান বাহিনী এবং আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে ঢাকার গুলশানের কূটনীতিক পাড়ার একটি স্প্যানিশ রেস্তোরার মধ্যে ১২ ঘন্টার জিম্মি ঘটনার অবসান হয়েছে। হলি আর্টিজান নামের ওই রেস্তোরায় সকালে পরিচালিত অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে-এর মধ্যে ৩ জন বিদেশী ও বাকিরা নারী এবং শিশু। অভিযানে ৬ জন জঙ্গী নিহত হয় এবং ২০ জন জিম্মি যাদের অধিকাংশই বিদেশী তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশীও রয়েছেন এদের মধ্যে।
আইএসপিআর অল্পসময় আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত ২০ জনের জাতীয়তা প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশী ও ১ জন বাংলাদেশী আমেরিকান এবং ২ জন বাংলাদেশী । বিদেশীদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয় , ৭ জন জাপানী এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক । নিহতদের মরদেহ সিএমএইচ মর্গে রাখা হয়েছে । ৬ সন্ত্রাসী ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট নিহতের সংখ্যা ২৮ জন ।
সেনাবাহিনীর ডাইরেক্টর অপারেশনস শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ২০ জনকে রাতেই হত্যা করা হয়। একটি সূত্র বলছে, এদের অনেককেই জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এই বিদেশীদের পরিচয় এবং জাতীয়তা এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি। উদ্ধারকৃত ২০ জন এবং ৬ জঙ্গীর মরদেহ সিএমএইচ-এর মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে, গতরাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। ৪০ জন পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার পরে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা ওই রেস্তোরাটিতে হামলা চালায় এবং সবাইকে জিম্মি করে। তারা আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিচ্ছিল। তারা মুর্হূমুর্হ গুলি ও গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রেস্তোরাটি ঘিরে ফেলে। ইসলামিক স্টেট এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে এবং ২০ জনকে তাদের যোদ্ধারা হত্যা করেছে বলে শুক্রবার মধ্যরাতে দাবি করেছে-মর্মে সাইট ইন্টিলিজেন্স বলছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কিছুই বলা হয়নি। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনার এই প্রথম ঘটলো। সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু