বুধবার হ্যানয়’ এ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে "চাপ বাড়াতে হবে"।
ভিয়েতনামের রাজধানীতে প্রেসিডেন্ট নুয়েন শুয়ান ফুকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে হ্যারিস এই মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের চুক্তি, যা বিশ্বজুড়ে সমস্ত সামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপ প্রতিষ্ঠা করে, উল্লেখ করে কামালা বলেন, "সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশন মেনে চলার জন্য আমাদের বেইজিংয়ের উপর চাপ ও চাপ বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সমুদ্রে চীনের হয়রানি ও মাত্রাতিরিক্ত আধিপত্য কে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
হ্যারিসের "বুলিং" বা হয়রানি শব্দটি ব্যবহার করেন সোমবার সিঙ্গাপুর সফরের আগে করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে যে চীন "দক্ষিণ চীন সাগরের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের উপর জোর করা, ভয় দেখানো এবং আধিপত্য বিস্তার করা অব্যাহত রেখেছে।" ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য পূর্ব এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির দাবি থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য দ্বীপের মালিকানা দাবি করে চীন কৃত্রিম দ্বীপে বেশ কয়েকটি ফাঁড়ি স্থাপন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন চীনের প্রভাবকে মোকাবেলা করার বিষয়টিকে পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করেছেন।
হ্যারিস আরো ঘোষণা করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে অতিরিক্ত দশ লক্ষ কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেবে এবং হ্যানয়-এ যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের একটি নতুন আঞ্চলিক শাখা খুলবে।
হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি ভিয়েতনাম সফর করলেন। হ্যানয়-এ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে মঙ্গলবার "একটি সাম্প্রতিক সম্ভাব্য অস্বাভাবিক স্বাস্থ্য ঘটনার কারণে সিঙ্গাপুর থেকে হ্যানয় যাওয়ার জন্য তার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক প্রায়শই "অস্বাভাবিক স্বাস্থ্য ঘটনা" বাক্য ব্যবহার করে যাতে বোঝা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন কূটনীতিক এমন একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন যা সাধারণত হাভানা সিনড্রোম নামে পরিচিত।
(এ খবরের কিছু অংশ রয়টার্স, এসোসিয়েটেড প্রেস ও এজেন্সি ফ্রান্স প্রেস থেকে নেয়া হয়েছে)