অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনাকালে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা: একজন বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্য


ঢাকার বন্ধ একটি স্কুলের ক্লাসরুমের চিত্র।
ঢাকার বন্ধ একটি স্কুলের ক্লাসরুমের চিত্র।

গত বছর মার্চের প্রথমে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ই মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটি দফায় দফায় বাড়িয়ে সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের বিস্তার অব্যাহত থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলবে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার একটা প্রচেষ্টা চললেও এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লাখ লাখ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে নাই। এমনকি গত ১৬ মাসে স্কুল ও কলেজে একটি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয় নাই।।

ইউনিসেফ এবং ইউনেস্কো সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সতর্ক করেছে এই বলে যে প্রজন্মের বিপর্যয় এড়াতে নিরাপদ ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিৎ। করোনাকালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঈপ্সার শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা নাসিমা বানু'র কাছে ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া কোন ভাবেই যৌক্তিক হবেনা। তিনি বলেন যেহেতু অনলাইনে পাঠ দান অনেকটাই শহর কেন্দ্রিক তাই এই সুবিধাটা বিরাট সংখ্যক শিক্ষার্থীর নাগালের বাইরে থাকছে।এ প্রেক্ষাপটে পাঠ দানের বিকল্প অন্যকোন ব্যবস্থা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন সংস্থাটির সামাজিক উন্নয়ন বিভাগের এই সহকারী পরিচালক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অবশ্য বলেছেন সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে স্কুল-কলেজ পুনরায় খুলে দেওয়ার বিষটি বিবেচনায় রেখেছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন সরকার এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু করেছে।

XS
SM
MD
LG