অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিজেপির বিপুল বিজয়, দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠিয়েছে


ভারতের সাম্প্রতিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজেপির বিপুল বিজয়, দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠিয়েছে। ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক সংগঠণ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন “ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাম্প্রদায়িকতা” শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রতি।

ভারতের রয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ইতিহাস, রয়েছে আইনগত ও সামাজিক বিষয়াবলী, যা ভারতীয়দের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। এখন জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনীতিবিদ বা ভোটের রাজনীতিই; ধর্মীয় বিষয়ের ওপর বিতর্ক ও প্রভাব বিস্তার করছে। এমন অভিমত ব্যাক্ত করলেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় বক্তারা।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজিয়াস ফ্রিডম প্রজেক্টের পরিচালক ড. তিমথী শাহ বললেন গুজরাট দাঙ্গাসহ অতীতের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সঙ্গে নরেন্দ্রো মোদীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিতর্ক থাকার কারনে অনেকে বিজেপির ক্ষমতা গ্রহনে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বৃদ্ধি পাবার বিষয় নিয়ে শংকিত। কিন্তু এটাও বলা হচ্ছে যে তিনি শুশাষণ প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়েই ব্যাস্ত থাকবেন।

তিনি বলেন, মোদী শুশাষণ ও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করবেন। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মতো কিছু করবেন না। সংখ্যালঘূ নির্যাতনের বিষয়ে সরকোরের কোনো সংশ্লেষ কখনো থাকে না।

“তিনি বলছিলেন মোদী দেশ গড়ায় কাজ করবেন। তবে ক্ষমতায় থাকার কারনে যদি তার সহযোগিরা যা ইচ্ছা তাই করার স্বাধীনতা পায় যেমনভাবে গুজরাট দাঙ্গায় এক বা ২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, তবে তা ভয়াবহ হবে। পরবর্তী ৫ বছর ভারতে তবে গুজরাট দাঙ্গার মত বহু ঘটনা ঘটবে”।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের পলিসি এনালিষ্ট সাহার চৌধুরী বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘূদের কিছ শংকাতো আছেই। কারন অতীতে ধর্মীয় সহিংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের বহু ঘটনার প্রমান রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বহু দেশ ভারতের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে বিজেপির সঙ্গেও তা অব্যাহত থাকবে।

“বলছিলেন আশা করা হচ্ছে মানবাধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্কতরাষ্ট্র বিজেপির সঙ্গে আরৈাচনাকরবে। আশা করি ভারতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আরো জোরালোভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে যেসব স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘূ নির্যাতিত হয়ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত বেশী সেখানে কুটনীতিকদের পরিদর্শন বাড়ানোর মাধ্যমে”।

হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিজ আশা করেন নতুন সরকারের আমলে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি আরো উদার হবে। তবে বাংলাদেশের অভিবাসিদের সম্পর্কে তার মন্তব্য দু’দেশের সম্পর্কে খানিকটা দুরত্ব বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“তিনি বলেন, তাকে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কারন আমি অোেনক বাংলাদেশী বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, ভারতে বাংলাদেশী অভিবাসি নিয়ে তার মন্তব্য ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। সিং এর সঙ্গে হসিনা সরকারের ভালৈা সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনীত, সন্ত্রাস নিরোধসহ সকল বিষয়ে। কিছু ভোট বেশী পাওয়ার জন্য হয়ত তিনি এ মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু এতে সম্পর্কের বিশাল ক্ষতি হযেছে যা তাকে পুরপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ আফ্রিকাসহ সকল প্রতিবেশীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক যে ভালো রাখবে মোদীর সরকার তার প্রমান মিলল তার অভিষেক অনুষ্ঠানে সকল দক্ষিন এশিয়ান নেতাদের আমন্ত্রন ও অংশগ্রহণ দেখে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন এশিয়ান ষ্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ওয়াল্টার লোহম্যান।
XS
SM
MD
LG