অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হুথি কর্মকান্ডতে ইয়েমেন বন্দর এখন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত: সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট


ইয়েমেনের সানার সানা বিমানবন্দরে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বিমানবন্দরের কর্মীরা। ২১ ডিসেম্বর, ২০২১।
ইয়েমেনের সানার সানা বিমানবন্দরে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বিমানবন্দরের কর্মীরা। ২১ ডিসেম্বর, ২০২১।

ইয়েমেনে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বলেছে, হোদেইদাহ এবং সালিফ বন্দর দুটি যদি হুথি বাহিনী সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে, তাহলে তাদের ন্যায়সঙ্গত ভাবেই ঐ দুটিকে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে জোট। জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল-মালকি শনিবার একথা বলেছেন।

আল-মালকি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বন্দরগুলিকে আমরা লক্ষ্যবস্তু করতে চাই না ... আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চাই”। তবে তিনি বলেছেন, যদি হুথিরা কোনও বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে, তাহলে তাদের বাহিনী সেই বন্দরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করবে।

হোদেইদাহ এবং সালিফ বন্দরগুলি বর্তমানে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বলেছে, তারা সেগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং নৌ অভিযানের উৎক্ষেপণ পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করে।

তবে হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান ও সমুদ্রের প্রবেশাধিকার সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ২০১৫ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে রাজধানী সানা থেকে উৎখাত করার পর, ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা।

"বৈরী কাজে" নিয়োজিত থাকার অভিযোগে, রবিবার হুথি বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করে। তবে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট জানায়, জাহাজটি হাসপাতালের সরঞ্জাম বহন করছিল।

ইয়েমেনে জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে, সেখানে ১.৬ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই এবং লক্ষ লক্ষ লোক দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

XS
SM
MD
LG