অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার পরস্পরকে হুমকি দিচ্ছে


যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া এখন শক্তি প্রয়োগের পরোক্ষ হুমকির মুখে রয়েছে কারণ পিয়ংইয়ং সরকার পরমাণু বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি সাধনের জন্য এ বছরের শেষ নাগাদ সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে।

কোরিয়ান পিপলস আর্মির প্রধান, পাক জং চন গতকাল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন সামরিক পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এই বিবৃতি ছিল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের সরাসরি জবাব। ট্রাম্প ঐ মন্তব্যে এ রকম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্রয়োজনবোধে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে।

উত্তর কোরিয়ার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে পাক বলেছেন একটা জিনিষ আমি পরিস্কার করে বলতে চাই যে সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ একা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপার নয়। যে কেউ এটা অনুমাণ করতে পারে যে গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোন সামরিক ব্যবস্থা নেয় , তা হলে গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ‘এর জবাবে কী করতে পারে।

তাঁর এই মন্তব্যের কয়েক ঘন্টা আগেই লন্ডনে নেটো শীর্ষ বৈঠকের সময়ে সংবাদদাতাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বলেন, এখন সকল সময়ের চাইতে আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে এবং এখন আমরা বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী দেশ। আশা করি আমাদের সেই শক্তি প্রয়োগ করতে হবে না, তবে যদি প্রয়োজন পড়ে তা হলে আমরা সেটা ব্যবহার করবো।

যদিও ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প ক্ষমতায় যাবার পর যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একাধিক বার পরস্পরকে হুমকি দিয়েছে , তবুও এখন কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে সর্বসাম্প্রতিক এই হুমকি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার এক মারাত্মক আভাস।

XS
SM
MD
LG