ইরাক এবং সিরিয়ায় সংখ্যালঘু কুর্দিরা মনে করছেন যে তাদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যখন প্রায় উড্ডয়নের পথে তখন মরিয়া আফগানরা যেভাবে বিমানে উঠার চেষ্টা করে---ঐসব হৃদয় বিদারক ছবি দেখার পর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন দেখা দেয়।
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের শীর্ষ স্থানীয় দুটি টেলিভিশন চ্যানেল রুদাও এবং এনআরটির অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল “আফগানিস্তানে যা ঘটছে তার পুনরাবৃত্তি কি ইরাকেও ঘটবে?” ঐ অনুষ্ঠানে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পরপরই তালিবান যে দ্রুতগতিতে আফগানিস্তান দখল করে নিতে থাকে তা উল্লেখ করা হয়।
১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং এদের পশ্চিমা মিত্ররা মানবিক কারণে নো-ফ্লাইজোন অর্থাৎ বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা প্রতিষ্ঠা পরে ইরাকে কুর্দিরা তাদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।
২০১৪ সালে ইসলামিক ষ্টেট গোষ্ঠী (আইএস) প্রধান্য বিস্তার করলে কুর্দি যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র হয় যার ফলে উত্তর পূর্ব সিরিয়ায়, সিরিয়ান কুর্দিরাও একটি স্বঘোষিত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল।