মানুষ বিনাশী যুদ্ধ, সশস্ত্র সংঘাত, সংখ্যালঘু জাতিগত নিধনের বিদ্বেষ, আক্রোশ, অত্যাচার, নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন, খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষসহ নানা কারণে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর চলতি বছরের হিসেবে অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও স্থানে ৭ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ বাস্তুহারা থেকে শুরু করে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৯ লাখ মানুষ দীর্ঘকাল শরণার্থী অবস্থায় ভিনদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এই আশ্রয় কোনো সুখের দিন-রাত্রি নয়। এরই মধ্যে মরণঘাতি করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন এই অসংখ্য আদম সন্তান। এমই এক প্রেক্ষাপটে আজ শনিবার বিশ্ব শরণার্থী দিবস। আ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, আড়াই কোটির বেশি শরণার্থীর মধ্যে অর্ধেকই শিশু ও কিশোর। আর বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো প্রায় ৭০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় প্রথম দিককার একটি দেশ- যেখানে আশ্রয় পেয়েছে ১১ লাখ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী।
রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা এক বিপদের ওপরে করোনা মহামারীর বাড়তি আরেক বড় ধরনের বিপদ ও ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাসহ বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন অধ্যাপক এবং অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সি আর আবরার।
ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থী পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে।১৯৯০-এর দশকে যেখানে প্রতিবছরে গড়ে ১৫ লাখ শরণার্থী নিজ দেশে ফেরত যেতে পারতেন, বর্তমানে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বছরে ৪ লাখেরও নীচে।এমত পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞগণ সম্মিলিতভাবে ক্রমবর্ধমান এই সংকট মোকাবেলার ওপর তাগিদ দিয়েছেন।