অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে ৯ মিনিট বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ ছিল


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত শুক্রবার সকালে দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই চালাতে এবং ১৩০ কোটি ভারতবাসী যে ঐক্যবদ্ধ তা দেখাতে রবিবার রাত ঠিক ৯টায় দেশজুড়ে প্রতিটি বাড়িতে প্রতিটি ঘরে আলো নিভিয়ে দিয়ে বারান্দায় অথবা ঘরের চৌকাঠে আলো হাতে নিয়ে ৯ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকুন। আজ রবিবার একটু আগে সেই সময় অতিক্রান্ত হলো। এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় এত বড় একটা দেশে এত কোটি মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে কতজন সাড়া দিয়েছেন।

তবে ভিডিও বার্তায় এই আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই এ নিয়ে বিপুল চর্চা হয়ে চলেছে। জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। জনমত স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এক দল অন্ধ বিশ্বাসী বলছেন, জ্যোতিষ বিদ্যা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। ওই সময়ে এই ভাবে ন'মিনিট বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে অন্য আলো জ্বালালে গ্রহ তারা নক্ষত্রের যে সম্মিলিত শক্তি বিচ্ছুরণ হবে তাতে করোনা ভাইরাসের মৃত্যু হবে। আর অবিশ্বাসীদের বক্তব্য, বিজেপি চিরকাল অন্ধ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেয়। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মনোভাব দুর্ভাগ্যজনক। তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন, আলো নেভানোর কিংবা জ্বালানোর ব্যাপারে তারা নেই। তবে সত্যিকারের সমস্যায় পড়েন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা। হঠাৎ একসঙ্গে সারা দেশে সব আলো নিভে গেলে, আবার ন'মিনিট পরে একসঙ্গে সব আলো জ্বলে উঠলে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপরে যে চাপ পড়ে, তাতে লাইনে বড় ক্ষতি হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তারা কীভাবে করলেন, সব জায়গার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা নানা সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে নানা মন্তব্য করে লোক হাসাচ্ছেন, এমনকি বিদেশ থেকেও বিজেপির কিছু মন্তব্যের প্রতিবাদ করা হচ্ছে। যেমন ইংল্যান্ডের যুবরাজ চার্লস সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ভারতের আয়ুষ মন্ত্রী বলে বসলেন, তাঁর কাছে খবর আছে যে প্রিন্স চার্লস ভারতের এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কবিরাজি ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে ভালো হয়ে গিয়েছেন। একথা ঠিকই যে প্রিন্স চার্লস আয়ুর্বেদে বিশ্বাসী। কিন্তু আজ তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তাঁকে করোনার চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারদের ওষুধপত্রই খাওয়ানো হয়েছে।
XS
SM
MD
LG