বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না।
সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন যে ভারত সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তিনি বলেন সীমান্ত সমস্যাকে জিইয়ে রেখে অতীতে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন এবং যারা ভারত সফরে গিয়ে পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন তার চেয়ে নতজানু নীতি আর কি হতে পারে।
অন্যদিকে বর্তমান সরকারের সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহু বছরের পুরোনো ছিটমহল সমস্যা এবং অন্যান্য সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে উল্লেখ করে সড়ক পরিবাহন মন্ত্রী বলেন বিএনপি তাদের শাসনামলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান কোনও সমস্যার সমাধান তো করতে পারেই নাই বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছিল। তিনি বলেন বর্তমান সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দুই দেশের মধ্যে তৈরি করেছে সুসম্পর্কের সেতুবন্ধন।
বিএনপি নেতাদের সীমান্ত নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন তাঁরা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বিএনপির মুখে ভারত বিরোধিতা ফেনা তুললেও ভারতের সঙ্গে তারা যে নতজানু অবস্থান নিয়েছিল তা তাদের সময়কালে দেশবাসীরা দেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার দলটির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ নিন্দা জানানো হয় বলে রোববার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সভ্য পৃথিবীর কোনও দেশের সীমান্তে এভাবে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় না কারণ এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না এবং একই সঙ্গে এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে গত ২৯ শে আগস্ট বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে দুই জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হন।