অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সীমান্ত ঘেঁষে চীনের সেতু নির্মাণ “পর্যবেক্ষণ করছে” ভারত 


ফাইল ছবি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তোলা ছবিতে চীনের সেনাদের চীন-ভারত সীমান্তের লাদাখে প্যাংগং সো অঞ্চলে পরিখা ভাঙ্গতে দেখা যাচ্ছে, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ছবি/ভারতীয় সেনাবাহিনী/এপি
ফাইল ছবি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তোলা ছবিতে চীনের সেনাদের চীন-ভারত সীমান্তের লাদাখে প্যাংগং সো অঞ্চলে পরিখা ভাঙ্গতে দেখা যাচ্ছে, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ছবি/ভারতীয় সেনাবাহিনী/এপি

ভারত-চীন সীমান্ত ঘেঁষে থাকা হিমালয়ের একটি হ্রদের উপর চীনের সেতু নির্মাণ, সীমান্তের বিবদমান এলাকাগুলোতে এশিয়ার এই বিশাল দেশটির সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে, নয়া দিল্লীতে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

প্যাংগং হ্রদের উপর নির্মাণাধীন এই সেতুটি বেইজিং নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, তবে ভারত দাবি করে সেটি তাদের এলাকা। বিশ্লেষকদের মতে, এই সেতুর ফলে চীনের পক্ষে সেই এলাকায় দ্রুত সৈন্য সমাবেশ করা সহজ হবে, যেই এলাকাটিতে দীর্ঘ সময় ধরে এই দুই পক্ষের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।

স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ সম্পর্কে জানতে পারার কয়েকদিন পর, ভারত জানায় যে তারা নির্মাণকাজ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, “সেতুটি এমন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে যেই এলাকাগুলো চীন প্রায় ৬০ বছর ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ”। “আপনারা সকলেই ভালভাবে অবগত আছেন যে, ভারত কখনই এমন অবৈধ দখল মেনে নেয়নি”।

প্রত্যুত্তরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার জানায় যে তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ “এর উদ্দেশ্য হল চীনের ভূখন্ডের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং একই সাথে চীন-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা”। যদিও কর্মকর্তারা সরাসরি সেতুর বিষয়টি উল্লেখ করেননি।

নয়া দিল্লীর অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-এর সম্মানিত ফেলো, মনোজ যোশী বলেন, “সেতুটি চীনের সৈন্যদের জন্য, তিব্বতে অবস্থিত তাদের সামরিক ঘাঁটি থেকে প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে যাওয়া অনেকটাই সহজ করে তুলবে। তাই তারা উত্তর তীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়, যেটি চীনের জন্য একটি স্পর্শকাতর এলাকা, কারণ সেখান দিয়ে তিব্বতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পৌঁছনো যায়”।

XS
SM
MD
LG