অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জনগণের অসুবিধে করে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানানো চলবে না-ভারতের সুপ্রিম কোর্ট


ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে দিল্লির শাহীনবাগে রাস্তা আটকে জনগণের অসুবিধে করে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানানো চলবে না‌। সংবিধানে নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন করার ও বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার দেওয়া আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সেই অধিকার অন্য কারও অধিকার ক্ষুন্ন করে হতে পারে না। উল্লেখ্য, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য দিল্লির শাহীনবাগে রাস্তা অবরোধ করে বহুদিন ধরে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও অবস্থান চলছিল। গত ২৪শে মার্চ পুলিশ জোর করে সেই অবস্থান-বিক্ষোভ সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মা, শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা। তাঁরা প্রতিবাদ জানান, তাঁদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন জানান। আজ বুধবার একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, জনসাধারণের অসুবিধা সৃষ্টি করে জনগণের প্রতিবাদ সংবিধানসম্মত নয়। বস্তুত সাধারণের ব্যবহার করার কোনও জায়গা অনির্দিষ্টকাল দখল করে রেখে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানানো যায় না। এ ব্যাপারে আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার দরকার নেই, সরকার ও প্রশাসনের ক্ষমতা রয়েছে এ ধরনের আন্দোলন অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার। ভবিষ্যতেও এই কথাটা মনে রাখতে হবে।

প্রথমে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, পরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ, যাতে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আগত হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দানের কথা বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ শুরু হয় রাজধানী দিল্লির শাহীনবাগে। এই নিয়ে অনেক অনুরোধ উপরোধে কোনও কাজ না হওয়ায় পুলিশ জোর করে করোনা আবহের মধ্যে স্বাস্থ্যরক্ষার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জনগণ তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় অবশ্যই অবস্থান-বিক্ষোভ করতে পারে, তার ব্যবস্থা সংবিধানে রয়েছে। কিন্তু যে কোনও জায়গায় যখন-তখন অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে রাখা সেই অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG