ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা বিশ্ব অর্থনীতির নিরাপত্তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারি মন্ত্রী মনপ্রিত সিং আনন্দ। তিনি মনে করেন, গভীর সমুদ্রে অবাধ চলাচলে স্বাধীনতার মতো আন্তর্জাতিক রীতিনীতি সমুন্নত রাখতে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা জয়েছে, নিউজার্সিতে প্যাসিফিক কাউন্সিল সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় ভারতীয় বংশোদ্ভুত কূটনীতিক মিস্টার আনন্দ উল্লেখ করেন যে, এই তিনটি দেশ ভবিষ্যতে গভীর সমুদ্রপথে মানবপাচার, জলদস্যুতা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান কিভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার ওপর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শুধু জলপথই নয়, ভূ-ভাগের স্থিতিশীলতাও নির্ভর করবে। মিস্টার আনন্দ তার বক্তৃতায় ভারত মহাসাগর সন্নিহিত দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যকার একটি অসাধারণ বৈপরিত্যের দিকে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তার কথায়, আগামী ১৫ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় আড়াইশো কোটিরও বেশি মানুষ শহরে বসতি স্থাপন করবে। এর ফলে অবকামাঠামো এবং নানা ধরণের সেবা খাতের চাহিদা বাড়বে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ি আগামী ১০ বছরে প্রায় আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার শুধু অবকাঠামো খাতেই বিনিয়োগ দরকার পড়বে। অথচ তাদের নিজেদের পক্ষে তার যোগান দেয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বিশ্বব্যাপি বাণিজ্য বিস্তার করছে ঠিকই, কিন্তু তারা বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে কম পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের একটি হিসেবেই রয়ে গেছে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।